ভূত ভয়ংকর


পুস্তক পরিচিতিঃ
ভূত কেউ বিশ্বাস করে না। তবু ভূত সকলের নিত্যসঙ্গী। ভূতের কথা শুনলে মুখে অবিশ্বাসের হাসি, তবু বুকের মাঝে সবারই গোপন কাঁপুনি! ছেলে-বুড়ো সবার কাছেই ভূতের গল্প যুগযুগ ধরে প্রিয় ছিল, প্রিয় থাকবে। অবিশ্বাস্য এই সত্যকে এবারে আবারও নতুন করে প্রকাশ করেছেন
মো. খালিদ উমর। এমন সব কাহিনীর সমাহারে এই বইয়ের পৃষ্ঠাগুলো ভরানো হয়েছে, যার সব কিছু ঘটেছে তার চোখের সামনে, কখনও দেশে, কখনও বিদেশে, এমন কি বিলেতের মত দেশেও। অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে বয়ান করা হয়েছে সাবলীল ভাষায়, অনায়াস দক্ষতায়। যে সকল পাঠক ভূতকে অবলীলায় অস্বীকার করেন, তারাও এ বই পড়ে শিহরিত হবেন। শুধু রাতে নয়, দিনের বেলাতেও একা একা নিভৃতে এ বই পড়তে সাহসের দরকার আছে। আর যদি রাতে পড়েন? আমি জানি না, টয়লেটে একা যেতে পারবেন কি পারবেন না!
দশ ভূতের দশ স্বাদের দশটা গল্প দিয়ে সাজানো ভূত ভয়ঙ্কর শুধু ভয় নয়, কৌতূহলী করে তোলে পাঠককে। এমন সহজ-সরল  নিরাভরণ বর্ণনার গুণে গল্পগুলোকে নেহাত গল্প বলে মনেই হয় না। তবে গল্প যখন ভূতের, সত্য হবার সম্ভাবনা যে শূন্য তা বলাই বাহুল্য। তবে ভয় তাতে কমছে না এতটুকুও।
 
নাজমুল হুদা
পাঠক, ব্লগার, ফেসবুকার
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অবসরপ্রাপ্ত উপসচিব।

ভুমিকা-
ঋতু বৈচিত্রের দেশ এই বাংলাদেশে বছরে ছয় বার ঋতু বদলের সাথে সাথে প্রকৃতির রূপ বদলায় আর এদেশের মানুষকে ভাবতে শেখায়। নানান ভাবনা। প্রেম, বন্দনা, আবিষ্কার, ইত্যাদি নানা কিছু। শেখায় কল্পনার রাজ্যে উড়ে যেতে। বরষার রিমঝিম সুর, শরতের নীল আকাশে সাদা পালক মেঘেদের দূর দেশে উড়ে যাওয়া, সোনালী শীতের সোনালী বিকেলে মাঠে ঘাটে পথিকের চলা, গায়ের বুকে বাঁশের চালার রান্না ঘর থেকে ওঠা ধোয়া থরে থরে শিশিরের সাথে মিশে যাওয়া, ফাগুনের উদাসী হাওয়া এমনিতেই মনে দোলা দিয়ে যায়। দূর  দিগন্তে আঁকা ছায়া ছায়া গাঁয়ের ছবি দেখে মনে এক অচেনা অজানা সুর গুন গুন করে। কত এলো মেলো ভাবনা, এলো মেলো কথা মনে আসে যায়। এই বৃষ্টি ভেজা নরম কাদার দেশে নরম মনের মানুষের এই দেশের মত এত সুন্দর দেশ আমার চোখে পরেনি। কত দেশইতো দেখলাম কিন্তু আমার এই দেশের মত আর কোথাও দেখিনি। এই রূপ বৈচিত্র দেখে ভাব তরঙ্গে উদবেলিত হয়ে কখন থেকে যেন লিখতে শুরু করেছিলাম। সন্ধ্যার পরে গা ছম ছম করা মেঠো পথে চলতে গিয়ে যেমন মনে হতো তারই কিছুটা আজ এখানে সংযুক্ত করেছি। এমন কিছু গল্প ছোটদের জন্য লিখতে পেরে ভাল লাগছে। জানি না তারা কিভাবে  নিবে।


No comments:

Post a Comment

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি আপনার মতামত জানতে আগ্রহি।
আশা করি অতি শিঘ্রই আপনার মন্তব্য বা জিজ্ঞাসার জবাব পাবেন।