নক্ষত্রের গোধূলি


ভুমিকাঃ
ছয় ঋতুর দেশ এই বাংলাদেশে বছরে ছয় বার ঋতু বদলের সাথে সাথে প্রকৃতির রূপ বদলায় আর এদেশের মানুষকে ভাবতে শেখায়। নানান ভাবনা। প্রেম, বন্দনা ইত্যাদি নানা কিছুবরষার রিমঝিম সুর, শরতের নীল আকাশে সাদা
পালকের মেঘেদের দূর দেশে উড়ে যাওয়া, সোনালী শীতের সোনালী বিকেলে মাঠে ঘাটে পথিকের চলা, গাঁয়ের বুকে বাঁশের চালার রান্না ঘর থেকে ওঠা ধোয়া থরে থরে শিশিরের সাথে মিশে যাওয়া, ফাগুনের উদাসী হাওয়া এমনিতেই মনে দোলা দিয়ে যায়। দূর  দিগন্তে আঁকা ছায়া ছায়া গাঁয়ের ছবি দেখে মনে এক অচেনা অজানা সুর গুন গুন করে। কত এলোমেলো ভাবনা, এলোমেলো কথা মনে আসে যায়। এই বৃষ্টি ভেজা নরম কাদার দেশের মানুষেরাও তেমনি নরম মনের মানুষ।

এ দেশের কোন এক রাশেদ সাহেবের জীবনের নানা ঘটনা নিয়ে এই কাহিনী লিখা শুরু করেছিলাম। তখন ভাবিনি যে এই লেখা একদিন গ্রন্থ আকারে প্রকাশ হবে। রাশেদ সাহেবের ভাগ্যের আকাশে নানান গ্রহ নক্ষত্রে কি ভাবে দিন আসে যায়, সন্ধ্যা বা রাত্রি আসে যায়, কেন তার মত একজন সহজ সরল অতি সাধারণ মানুষ যিনি কোন ঘোর প্যাচ বোঝে না, যে কিনা তার নিজের দেশকে অকৃত্রিমভাবে ভালবাসে যেমন বাসে তার মাকে, স্ত্রীকে এই তার জন্য এই সোনার দেশে এক মুঠো অন্নের সংস্থান হয়না। নিজের দেশ ছেড়ে, সংসার ছেড়ে, স্ত্রী সন্তান প্রিয়জন ছেড়ে জীবনের একটা প্রান্তে এসে ভিন দেশে যেতে হয় তাই নিয়েই এই কাহিনী। জীবনে চলা পথে নানান উত্থান পতন এবং পায়ে পায়ে হোঁচট খাওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা, তাই নিয়ে তিনটি মহাদেশের পটভূমিতে এই উপন্যাস

একই ধরনের নানা ঘটনা ঘটে যায় নানা জনের জীবনে যার কিছু আমরা ভাবতে পারি আবার কিছু ভাবতেও পারিনা। যিনি আমাদের জীবনের চলা পথ, গতি দুর্গতি ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি যেখানে যা ঘটাচ্ছেন তা আর একজনের জীবনে হুবহু ঘটতে দেখা যায় না। কখনও কারো সাথে কিছুটা মিলে গেলেও পুরোটা সাধারণত এক হয়েছে এমন দেখা যায় না অর্থাৎ মুল ঘটনা তিনিই ঘটাচ্ছেন বা বলা যায় মুল গল্প তিনিই রচনা করে রেখেছেন যিনি এই জীবন নিয়ন্ত্রণ করছেন। আমরা শুধু এমনি নানা ঘটনা জোড়া তালি দিয়ে আবার নতুন এক কাল্পনিক রূপ দিতে পারি। এর বেশি কিছু আমাদের কলমে পেরে উঠে না। তেমনি করে কারো জীবনের সাথে এখানে তুলে ধরা রাশেদ সাহেবের জীবন চলা পথ মিলে গেলে তা হবে নিতান্ত কাকতালীয় ঘটনা। আশা করি পাঠকবৃন্দ সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতেই দেখবেন।

No comments:

Post a Comment

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি আপনার মতামত জানতে আগ্রহি।
আশা করি অতি শিঘ্রই আপনার মন্তব্য বা জিজ্ঞাসার জবাব পাবেন।