৯০।
বাসায়
ফিরে কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরোজ বেরিয়ে গেলো। যাবার সময় বলে গেলো-
-তোমার
ভাবীকে বলেছি তুমি কখন বের হবে। তোমার পথে খাবার জন্যে কিছু নাস্তা বানিয়ে দিবে
নিয়ে যেও। সারা
রাতের পথ, ক্ষুধা লাগবে, এক বোতল পানিও নিও নয়তো রাস্তায় অনেক দাম দিয়ে কিনতে হবে।
-সে
প্রমাণ এর মধ্যে পেয়েছি। তখন হাফ লিটার পানি কিনেছি এক পাউন্ড দশ
পেনি দিয়ে।
ফিরোজ
বেরিয়ে যাবার পর রাশেদ সাহেব ফিরোজের কথা মত লাগেজ সংক্ষেপ করার কাজে লেগে গেলেন।
-ভাবী, একটু চা হলে ভালো হোত।
-হ্যাঁ
ভাই দিচ্ছি,
আর কিছু
দিব সাথে?
-না
না তখন যা খেয়েছি এখনও তার কিছু হয়নি।
-ভাবী
চা দিয়ে গেলেন। চায়ের সাথে লাগেজ গুটানো শেষ, সুটকেসটা রেখে ব্যাগ নিয়ে যাবে।
-ভাবী, এই যে এটা রেখে যাব।
-আপনার
যা দরকার সব নিয়েছেন?
-মনে
হয় নিয়েছি। তবে ওখানে যাবার পর বুঝবো কি কি ভুল করলাম। দেখা যাক, কিছু দরকার হলে কিনে
নিতে হবে।
-ওখানে
কিন্তু শীত বেশি, শীতের
কাপর সব নিয়েছেন?
-হ্যাঁ, যা আছে সবই নিয়েছি
-তাহলে
ওটা ওই ওপাশে রেখে দেন আমি পরে সরিয়ে রাখবো।
ভাবী
একটা বড় ডাইরির মত বই এনে বললেন-
-ভাই
আপনি যেখানে যাচ্ছেন সে ঠিকানা আর ফোন নম্বর রেখে যান।
-ভাবী,
ভালো কথা মনে করেছেন দেন এখনি লিখছি।
-রাস্তায়
কি নিবেন ভাই?
-আপনার
ভাণ্ডারে কি আছে, যা
আছে আপনার সুবিধা মত তাই দেন।
-পরটা
আর সাথে ডিম ভেজে দেই?
-যথেষ্ট
হবে।
-কি
বললেন?
-কোনটা?
-ওই
যথা–,
-ও
আচ্ছা, আপনি আবার বাঙ্গালি নন, সরি ভাবী। যথেষ্ট
হলো এনাফ,
বুঝলেন
এবার?
-হ্যাঁ, এখন বুঝেছি, সবার কথা বুঝি কিন্তু
আপনি মাঝে মাঝে খাস বাংলা বলেন এই তখন একটু আটকে যাই।
-না ভাবী
আপনি খুব ভালো বাংলা বুঝেন এবং বলেন। কথায় কথায় ইংরেজি বলেন না এমনকি আমার সন্দেহ
হয় ফিরোজের বাংলা মনে আছে কিনা, আমার সাথে যখন কথা বলে তার অর্ধেক ইংরেজি বলে।
-ঠিক
বলেছেন আমারও তাই মনে হয় কারণ ওকে কখনো বাংলা কিছু পড়তে দেখি না, ওর আলসেমির জন্যেই
ছেলেমেয়েরা বাংলা শিখল না।
-কই
ওরা তো শুনি বাংলাই বলে আমিও ওদের সাথে বাংলা বলি।
-না
এই পর্যন্তই,
পড়তে
লিখতে পারেনা।
-ওর
উচিত ছিলো এটা শেখান, ভুল
করেছে। আর যাই হোক এই জন্যে ওরা নিজের শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।[চলবে]
No comments:
Post a Comment
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি আপনার মতামত জানতে আগ্রহি।
আশা করি অতি শিঘ্রই আপনার মন্তব্য বা জিজ্ঞাসার জবাব পাবেন।