১।
রাশেদ সাহেব খাবার টেবিলে বসে ভাবছিলেন। সামনে চায়ের কাপ দিয়ে গেছে
একটু আগে। তিনি ভাবছিলেন তার জীবনের কথা, অতীতের কথা, কি পেলাম আর
কি পেলাম না সেইসব কথা, সংসারের কথা, তার তিন
মেয়ের পড়া
লেখা এবং ভবিষ্যতের কথা। কি হবার ছিলো আর কি হলো, কি হতে
পারতো, কি হলো না, কেন হলো না, কোন সূক্ষ্ম
কারুকাজ তার জীবনে এই সব ঘটাল সেই সব কথা। বাবা মার কথা, ভাই বোনের
কথা, সমাজের কথা, তার সেই সব সোনালী দিন গুলির সেই সব
স্বপ্নের কথা যার মিছে আশায় পথ চেয়ে আজো বসে আছে।
বাইরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে, ভ্যাপসা গরম, মাথার উপর
ফুল স্পিডে ফ্যান চলছে। চা কখন ঠাণ্ডা হয়ে গেছে সেদিকে তার খেয়াল নেই। ডাইনিং
টেবিলে বসে রান্না ঘরের ওপাশের জানালা দিয়ে পাশের বাড়ির একটা নারকেল গাছ দেখা যায়।
গাছটার মাথার দিকে তাকিয়ে আনমনে ভাবছেন। ঠাণ্ডা চা সে মোটেই সহ্য করতে পারে না
কিন্তু আজ তার সেদিকে কোন খেয়াল নেই। এই
যে একটু আগে চায়ের কাপটা দিয়ে গেলো সে চা কোথা থেকে এসেছে তা সে জানে।
মনিরা হাসান, রাশেদুল হাসানের স্ত্রী। কয়েক দিন থেকেই
রাশেদ সাহেবের মনটা খারাপ। আজ সকালে আরও খারাপ হলো যখন সে দেখলো মনিরা তার কাজের
মেয়েটাকে দিয়ে পাশের দোকান থেকে বাকিতে ঠোঙ্গায় করে কিছু চাল আনাল। রাশেদ সাহেব
তাকিয়ে শুধু দেখলেন। কিছু বললেন না। কীই বা বলবেন? শুধু চাল
কেন ঘরে কিছুই নেই। আসবে কোথা থেকে? আজ কত গুলি দিন যাবত তার কোন রোজগার নেই।
লোকসান দিয়ে আর কত দিন ব্যবসা টিকিয়ে রাখা যায়? সোনার
হরিণের আশায় অনেক আগেই চাকরিটা ছেড়েছেন।
ব্যবসা করে সংসারের টানাটানির ঝামেলা কিছুটা কমিয়ে আনবেন। অভাবের দুয়ার
বন্ধ করে সুখের দুয়ার খুলে দিবেন। দেশের উপকার করবেন, বেকারত্বের
বোঝা কমিয়ে আনবেন। এমন একটা আশা নিয়ে সরকারি প্রথম শ্রেণীর চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে এই
ব্যবসা শুরু করেছিলেন। কিন্তু ‘অভাগা যেদিকে চায় সাগর শুকায়’ এই প্রবাদ
শুধু তার একার জন্য নয়, এতো অনেক পুরনো কথা। সুখ যার নিয়তির
পছন্দ নয়। চির অভাব যাকে আলিঙ্গন করে রেখেছে সে কেন এই প্রবাদের বিরুদ্ধে জয়ী হবে? তিনিও চাকরি
ছেড়ে ব্যবসা শুরু করলেন আর নদীতেও চর পড়লো। তিনি আবার যেমন তেমন ব্যবসা দাঁড়
করাননি! অনেক দিন ভেবে, নানা রকম প্রযুক্তি সংগ্রহ করে, চতুর্দিক
বিবেচনা করে, নক্সা করিয়ে সেই অনুযায়ী ব্যবসা আরম্ভ করেছিলেন। দোকানদারি নয়, ঠিকাদারি নয়, দালালি নয়
কিংবা শেয়ার বাজারের শেয়ার কেনা বেচা নয় একেবারে উৎপাদন মুখী ব্যবসা। যাকে বলে মরা
হাতিরও লাখ টাকা দাম। এই রকম একটা স্বপ্ন নিয়ে একেবারে শিল্প পতি হতে চেয়েছিলেন।
বাবার নাম ছড়াতে চেয়েছিলেন, বংশের হারান গৌরব উদ্ধার করে নিভে যাওয়া
প্রদীপ আবার জ্বালাতে চেয়েছিলেন, হৃত ঐতিহ্য উদ্ধার করে আবার কৌলীন্য বহাল
করতে চেয়েছিলেন।
নিজের উপর যথেষ্ট আস্থা ছিলো। সুন্দর স্বাস্থ্য, কর্মঠ, কাজের প্রতি
একাগ্রতা, ধৈর্য, দূরদৃষ্টি, জন
সংযোগের ক্ষমতা অর্থাৎ সফল ব্যবসায়ীর যে
সব যোগ্যতা থাকা উচিত তা তার মধ্যে সবই ছিলো। তাহলে আর বাঁধা কোথায়? ব্যবসা শুরু
করলেন।
ক্লান্তি হীন ভাবে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন এদিক
ওদিক দৌড়া দৌড়ী করছেন। কিসে উৎপাদন খরচ কম হবে, উৎপাদন কেমন
হচ্ছে, তার মান কোন পর্যায়ের, কর্মচারীরা কে কি করছে সমস্ত কিছুর দিকে
তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি। কর্মচারীদের যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা দিতেন, তাদের যে
কোন সমস্যা খুব মনোযোগ দিয়ে দূর করার চেষ্টা করতেন। কর্মচারীরাও মন দিয়ে মালিকের
জন্য কাজ করতো। কিন্তু হলে কি হবে বিধি যার বাম তারে রুধিবে কে?
স্বামী স্ত্রী দুজনে মিলেই কাজ করতেন। ব্যবসার কারিগরি দিক সামাল দিতেন
এবং তার সাথে ফার্মের আশে পাশে শাক সবজি, ফুল, ফল ফলানো
নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন রাশেদ সাহেবের স্ত্রী মনিরা হাসান আর বাইরে তাদের উৎপাদিত
মালামাল বাজার জাত করা, কর্মচারীদের সুবিধা অসুবিধা ও অন্যান্য
যাবতীয় প্রশাসনিক বিষয় সহ জন সংযোগ পরিচালন করতেন রাশেদ সাহেব স্বয়ং।
এছাড়া বাইরে বিভিন্ন সভা সমিতি বা সেমিনারে দুজনে এক সাথেই যেতেন। ফিরে
এসে কে কি নিয়ে ফিরেছেন তাই নিয়ে দুজনে আলাপ আলোচনা করে নিজেদের জন্য তা কোথায় কি
ভাবে প্রয়োগ করা যায় তা সিদ্ধান্ত নিতেন বা তারা কোথায় কি ভুল করছেন তা সংশোধন করে
নিতেন। যত পরিশ্রমই হোক না কেন তাদেরকে যে উন্নতি করতেই হবে, সফল হতেই হবে এমন
একটা প্রবল ইচ্ছা তাদের মনে ছিলো। বাইরে
বেশ যথেষ্ট সুনাম বা গুড উইল যাকে বলে তাও পেয়েছিলেন। খুবই অল্প সময়ে তাদের এক
নামে সবাই চিনে ফেলত। কিন্তু এই সব দেখে উপর থেকে যিনি রিমোট কন্ট্রোল পরিচালন
করতেন তিনি বোধ হয় হাসছিলেন। রাশেদ, তুমি যতই কর না কেন সুখ আমি তোমার জন্য
বরাদ্দ করিনি, এর নাগাল তুমি কোন দিনই পাবে না।
২।
তাদের তিন মেয়ে। যাদের জন্য এই সব সেই মেয়েদের শিক্ষা, যত্ন আত্তি
বা অসুখ বিসুখের দিকে আপাতত কোন দৃষ্টি দেবার মত সময় ছিলো না। আগে যে ভাবেই হোক দাঁড়াতে
হবে, টিকে থাকা নিশ্চিত করতে হবে তারপর অন্য কিছু। মোবাইল ফোনে ছোট মেয়ে
জানাল যে আব্বু বা আম্মু বড় আপুর ভীষণ জ্বর। ওরা বলে দিত এখন কিছু খাইয়ে দিয়ে
দুইটা প্যারাসিটামল খাইয়ে শুয়ে থাকতে বল কাল ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেও। তার বিনিময়ে
কি এই? এমন কেন হলো? এ যে ভাবাই যায় না!
সরকারের অদূরদর্শিতার ফলে পাশের বিশাল দেশ থেকে সদর বা অন্দর পথে যখন
কম দামে বিস্কুট পর্যন্ত এদেশে আমদানি হতে শুরু হলো তখন তাদের উৎপাদিত মালের দাম
উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে অর্ধেকে নেমে এলো তখন রাশেদ সাহেবের স্বপ্ন সৌধ ভেঙ্গে চুরমার।
শুধু রাশেদ সাহেব নন তার মত সবারই এক অবস্থা। এই ধরনের উৎপাদন মুখি ব্যবসা গুলি
একে একে সবই প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অথচ সরকারের সেদিকে কোন খেয়াল নেই। এমনও হচ্ছে
যে কারো উৎপাদিত মাল বিক্রিও হচ্ছে না। লোকসান থেকে দেনায় চলে যাচ্ছে, কত সামাল
দেয়া যায়? কতক্ষণ টিকে থাকা যায় টাকার মাল ষাট সত্তর পয়সায় বিক্রি করে? সবাই ভাবে
এইতো আজ না হলে কাল ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু দিনকে দিন তা আরও ভয়াবহ হচ্ছে। ক্রমে শুধু
ফুল এক্সিলারেশনে অবনতির দিকেই যাচ্ছে। সাভারের
এক বন্ধু অ্যাডভোকেট রফিক সাহেবেরও একই অবস্থা। তারা দুজনেই এক সাথে একই মাপের
ফার্ম শুরু করেছিলেন, তবে রফিক সাহেব যেহেতু তার এলাকার একজন ধনি
পরিবারের সন্তান যাদের প্রায় ষাট একর জমির উপর বাঁশ বাগান থেকে দৈনিক চার হাজার
টাকার বাঁশ কেটে বিক্রি না করলে বাঁশ ঝাঁর নষ্ট হয়ে যাবার ভয় থাকে সে যে ভাবেই হোক
সামাল দিয়ে নিতে পারে তার সাথে রাশেদ সাহেবের তুলনা নেই। রাশেদ সাহেবের যে দিন
আনতে পানতা ফুরায় এমন অবস্থা এমনকি তাকে সামাল দেবার মত অন্য কেও নেই।
নিরুপায় হয়ে ব্যাংক এর সাথে আলাপ করলেন। তারা সিসি লোণ দিতে রাজী হলেন। বাবাকে এসে জানালেন
যে এই অবস্থা চলছে আপাতত কিছু সিসি লোণ নিয়ে এই দুর্যোগ মোকাবিলা করি। বাবা শুনলেন
কিন্তু কোন মন্তব্য করলেন না। রাশেদ সাহেব ভাবলেন বাবা বুঝি সম্মত আছে তাই লোণের
আবেদন পত্র এনে দিলেন স্বাক্ষর করে দেবার জন্য। কিন্তু বাবা সম্মত হলেন না। তার
কথা আমি লোণ রেখে মরতে পারবো না। রাশেদ সাহেব হতাশ হয়ে ভেঙ্গে পরলেন। সে যে
নিরুপায়, সব যে বাবার হাতে তার কিছুই করার নেই। এই দুর্দিনে উচ্চ শিক্ষিত সব ভাই
বোন কারো কাছেই কোন নৈতিক সহযোগিতা পেলেন না। তারা কেওই এগিয়ে আসার কোন তাগিদ
অনুভব করেনি।
৩।
এমনিতে ছোট ভাইয়েরা এই ব্যবসায় সম্মত ছিলো না, এতে নাকি
পরিবারের মান মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হবে। ওদিকে বাবা হয়ত ভেবেছিলেন এর আগে জাহাজে চাকরি
করেছে, ষোল বছর ধরে সরকারি চাকরি করেছে সেখান থেকে টাকার পাহাড় না হোক অন্তত
টিলা তো সঞ্চয় করেছে। তাই দিয়ে রক্ষা করুক, শুধু শুধু
আমি কেন ঋণের বোঝা নিতে যাই? রাশেদ সাহেব জানে সে তো কোন দিন ঘুষ খায় নি, পরের টাকা
দিয়ে সৌধ গড়ার স্বপ্ন দেখেনি। দেশের একজন সরকারি চাকুরে কত টাকাই বা বেতন পায়? এ
দিয়ে সংসার চালানো যেখানে সামাল সামাল অবস্থা সেখানে তার সঞ্চয় আসবে কোথা থেকে?
নিজেরা দুজনে কত কঠিন হিসেব নিকেশ করে আজে বাজে অহেতুক ব্যয় না করে মোটামুটি
চতুর্দিক রক্ষা করে সুন্দর সংসার চালিয়েছে।
মেয়েদের পোষাক বানাতে দর্জির টাকা বাঁচিয়ে মনিরা নিজে হাতে তা সেলাই
করে দিয়েছে আর ওই দর্জির মজুরী বাবদ যে টাকা প্রয়োজন হতো তার সাথে কিছু যোগ করে
একটু ভালো কাপড় পরিয়েছে। নিজেরা নানা রকম হাতের কারু কাজ দিয়ে ঘর
দোর সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতেন আর এই সব উপকরণ সংগ্রহ করতেন মনিরা কাপড়ে ফ্যাব্রিক
পেইন্ট করে যা পেত তাই দিয়ে। একটা শাড়িতে পেইন্ট করলেই ডিজাইন অনুযায়ী দেড় থেকে
দুশ টাকা পর্যন্ত পেত অথচ একটা শাড়ি পেইন্ট করতে সংসারের সব কাজ সেরেও তার ৩/৪
দিনের বেশি লাগে না, টিভির সামনে বসে না থেকে বা ফালতু আড্ডা না দিয়ে
একটা কিছু করে যদি কিছু বাড়তি আয় করা যায় তাহলে ক্ষতি কি? এই হচ্ছে
তার প্রতি সন্দেহের উৎপত্তি। এতো সুন্দর ভাবে চলছে তাহলে নিশ্চয়ই দু হাতে টাকা
কামাচ্ছে। এই হচ্ছে তার প্রতি অনেকের ঈর্ষার কারণ।
রাশেদ সাহেব জানেন যখন তিনি জাহাজে চাকরি করতেন তখন প্রতিটি ভয়েজের
শেষে যা পেতেন রাশেদ সাহেবের বাবা নির্দ্বিধায় তা একটা খাতায় টুকে রেখে তুলে দিতেন
তার এক শ্যালকের হাতে তার ব্যবসার জন্য, যা আর কোন দিন ফেরত পান
নি। হয় তো তিনি একথা ভুলেই গেছেন। তিনি যদি তখন একটু দূর দৃষ্টি কাজে লাগিয়ে ওই
টাকা তার শ্যালককে না দিয়ে কোথাও একটু জমি কিনে রাখতেন বা অগত্যা ব্যাঙ্কে জমা
রাখতেন তা হলে আজ রাশেদ সাহেব কোথায় থাকত? রাশেদ
সাহেবের অনেক বন্ধুই এরকম করেছে এবং তারা প্রায় প্রত্যেকেই আজ ঢাকা শহরে বাড়ির
মালিক। এদিকে রাশেদ সাহেব আজ নিঃস্ব কপর্দক হীন। এর জন্য দায়ী কে? প্রায় বিশ
বছর আগের কথা এই সব। সেই সব টাকা আজও ফেরত দেবার প্রয়োজন মনে
করেননি বা দেননি, সে টাকা ফেরত পাবার কোন আশাও নেই। বাবার সেই
শ্যালক বা রাশেদ সাহেবের মামা মারা গেছেন। তার
ছেলেরা আজ মস্ত ব্যবসা করছে এবং উঁচু দরের চাকরি করছে কিন্তু বাবার নেয়া ঋণ শোধ
করার কোন তাগিদ তাদের নেই।
আজ রাশেদ সাহেবের বড়ই দুর্দিন। অসহায়ত্বের চরম সীমায় অবস্থান করছেন, এখান থেকে
পরিত্রাণের কোন উপায় পাচ্ছেন না। কি করে ক্ষতি দিয়ে হলেও এই এতো কষ্ট করে গড়ে তোলা
ব্যবসা টিকিয়ে রাখা যায় এটাই তার এক মাত্র ভাবনা। সে জানে এই অবস্থা চিরদিন থাকবে
না এর একদিন পরিবর্তন হবে। কতদিন আর এভাবে একটা দেশ চলতে পারে? সে যে নিজে
হাতে গড়ে তুলেছে এই ব্যবসা, এর প্রতিটি ইট কাঠ সব তার নিজের হাতে
কেনা। সারা বাজার ঘুরে ঘুরে কোথায় কম দামে কোন জিনিষ পাবেন তাই খুঁজেছেন। সারা দিন
রাত ভেবেছেন, হিসেব করেছেন কি ভাবে নির্মাণ খরচ কমিয়ে আনা যায়। এখানে শেড গুলি তৈরির
সময় দেশে বন্যা হলো সেই বন্যায় চারিদিকে পানি এসে গেলো এই পানির মধ্যে দিয়ে জুতা
হাতে নিয়ে পরনের প্যান্ট ভিজিয়ে এসে তদারকি করতেন, অথচ সে সাঁতার
জানে না বলে এরকম খোলা পানিতে তার ভীষণ ভয়, সে ভয়ও
তুচ্ছ করে নিয়েছিলেন। তিনি একটা ঘোরের মধ্যে
ছিলেন, কত তাড়াতাড়ি এবং কম খরচে কাজ শেষ করা যায়। কোন কোন কাজের জন্য কোন
ঠিকাদার নিয়োগ না করে সে কাজ সে নিজ হাতে করেছে। এটাকে টিকিয়ে রাখার জন্য তার যে
কি যন্ত্রণা তা একমাত্র সে নিজেই জানে। এক মাত্র মা ই জানে সন্তান হারাবার
যন্ত্রণা কি। যে সৃষ্টি করে সেই বুঝে
তার বিনাশের কি জ্বালা, কি যন্ত্রণা, কি ব্যথা!
প্রকৃত মা কোন দিনই তার গর্ভের সন্তানকে কেটে দু ভাগের এক ভাগ নিতে চাইতে পারে না। আমার সন্তান
আমাকে ফিরিয়ে না দাও তবুও সে বেঁচে থাকুক।
[চলবে]
No comments:
Post a Comment
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি আপনার মতামত জানতে আগ্রহি।
আশা করি অতি শিঘ্রই আপনার মন্তব্য বা জিজ্ঞাসার জবাব পাবেন।