মমচিত্তে নিতি নৃত্যে -[২৭]-১৮
এর পর দুপুরে দোতলা থেকে একটার মধ্যে লাঞ্চ করে উপরে রুমে গিয়ে একটু
বিশ্রাম করে নিল রাতে লন্ডনের ফ্লাইট প্রায় আট ঘণ্টার জার্নি। শেষ বিকেলে সবাই
ব্যাগ গুছিয়ে রেডি হয়ে নিচে নেমে রিসিপশনের কাজ সেরে যার যার
সিডিসি নিয়ে বসে রইল।
ঠিক সাতটায় সেই ড্রাইভার এসে হাজির।
ও, তোমরা রেডি?
হ্যাঁ চল, আমরা রেডি হয়েই আছি।
চল।
গাড়িতে উঠে বসার পর গাড়ি ছেড়ে দিল। সে
রাতের মত আজ এত স্পিডে চালাচ্ছে না তবুও কম না, ৮০ মাইলের কাছা কাছি।
দুবাই এয়ারপোর্টে নামিয়ে গালফ এয়ারের
চেক ইন ডেস্কের সামনে পৌঁছে দিয়ে ড্রাইভার গুড বাই বলে চলে গেল। একটু পরে প্লেনে
উঠে সিট নম্বর দেখে বসে সিট বেল্ট বেধে নিল। লন্ডনে হিথ্রো এয়ারপোর্টে নামবে লন্ডনের
সময় রাত নয়টায়। ওখানে নেমে আবার কি হয় কে জানে এ পর্যন্ত ভালোই কেটেছে, হাবিব কোথায় কি ভাবে কোন জাহাজে উঠল কিছু জানতে
পারলাম না, কবে জানব কে জানে। ভাবতে ভাবতে বিমান
বালার কণ্ঠ শোনা গেল বাহরাইন মোহাররেক বিমান বন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার
বার্তা জানিয়ে দিল। একটু পরে ছোট বোইং 727 প্লেন
মটরিং করে বেরিয়ে এসে রান ওয়ে দিয়ে এক দৌড়ে আকাশে উঠে গেল। কয়েক মিনিটের মধ্যে
এরাবিয়ান গালফের উপর দিয়ে বাহরাইনের পথে এগিয়ে চলল। নিচে নীল সাগরের উপর দিয়ে
আরবদের প্রিয় বাজ পাখির ছবি আঁকা গালফ এয়ারের প্লেন উড়ে চলছে। একটু পরে হালকা
পানীয় নিয়ে এলো। এর পরে বাহরাইন থেকে টেক অফ করার পর পরিবেশন করবে রাতের খাবার।
আধা ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে বাহরাইন বিমান বন্দরে প্লেন নামার পর ওরা বের হয়ে
টার্মিনাল ভবনে চলে এলো। এখানে ট্রান্সফার ডেস্কে জিজ্ঞেস করে লন্ডনের প্লেন যে
গেট থেকে ফ্লাই করবে তা জেনে নিয়ে ১২ নম্বর গেটে গিয়ে দেখে লোকজন প্লেনে উঠছে।
লম্বা কিউ এর পিছনে দাড়াল। এক সময় প্লেনে উঠে বসার পনের বিশ মিনিট পড়েই প্লেন টেক
অফ করল। প্লেন আকাশে উঠে যবার পর হালকা পানীয় সার্ভ করল। নিশাত এর আগে কখনও এত
লম্বা প্লেন জার্নি করেনি। দুবাই থেকে বাহরাইন হয়ে সরাসরি লন্ডন।
যথা সময়ে লন্ডন হিথরো এয়ারপোর্টে নেমে
দেখে মহা যজ্ঞ। কোথায় থেকে কোথায় যাবে কিছুই বোঝা যেত না যদি এখানে কঠিন শৃঙ্খলা
না থাকত। এরো দেয়া আছে তাই দেখে দেখে ইমিগ্রেশন ডেস্কে চলে এসেছে এখানেও সেই চিঠি
দেখাল আর অমনি সিডিসিতে হিথ্রো এরাইভ্যাল সিল লাগিয়ে ফেরত দিয়ে দিল। এর পর কাস্টম
হয়ে বাইরে এসে দেখে নিশাত জামান এন্ড গ্রুপ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে এক মহিলা
দাঁড়ান।
ওদের এশিয়ান চেহারা দেখে জিজ্ঞেস করল
নিশাত?
ইয়েস
ওকে, প্লিজ ফলো মি।
বলেই তর তর করে এগিয়ে গিয়ে বাইরে রাখা
বিশাল গাড়ির কাছে এসে বলল ওঠ। এয়ারপোর্টের দরজা দিয়ে বের হয়ে ঠাণ্ডার একটা তীব্র
ঝাঁকুনি লাগল কিন্তু গাড়িতে উঠে বুঝল হিটার চলছে। কোন কথা বলছে না কেউ। চুপ করে বসে রইল। নিশাতের বিশ্বাস হচ্ছে না সে এখন
লন্ডন শহরে গাড়িতে করে ছুটে চলছে কোন এক অচেনা হোটেলের দিকে। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে
নিয়ে এলো পপলারের পাশে হেইচএসবিসি ব্যাঙ্কের হেড কোয়ার্টারের কাছে এক হোটেলে।
লন্ডন শহরে মরিসন হোটেলে। এই হোটেল দুবাইর হোটেলের মত কোন নামী হোটেল না মনে হলো। খুবই
সাধারণ একটা বাড়ির মত মনে হলো। কাঠের সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় উঠে সামনের রিসিপশন
কাউন্টারে বসে থাকা ম্যানেজারের সাথে ওই মহিলা
যার বুকে নেম প্লেটে লেখা দেখেছে ক্যাথরিন যে হিথ্রো থেকে নিয়ে এসেছে, পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলল এরা থাকবে। কাল এসে অফিসে
নিয়ে যাব। ওদের গুড বাই বলে চলে গেল। ম্যানেজার ওদের সাথে কথা বলছিল, ওদের নিয়ে চারতলায় দুইটা রুম দেখিয়ে দিল একটাতে দুই
বেড আর একটাতে এক বেড। নিশাত এক বেড যে রুমে ওই রুমে ওর ব্যাগ রেখে বের হয়ে এলো, ম্যানেজার হোটেলের নিচ তলায় খাবার ঘর দেখিয়ে সময়
টময় বলে তার কাউন্টারে চলে গেল।
ওরা নিজেরা একটু গুছিয়ে নিয়ে সবাই
নিশাতের ঘরে এসে বসল। কিছুক্ষণ এটা সেটা নিয়ে আলাপ করে নিশাত জানতে চাইল এখানে ওরা
কেউ আগে এসেছে কি না। না আমরা আগে আসিনি।
এখানেও দুবাইর মত হোটেল তবে পার্থক্য একটাই আর তা হলো গরম আর
শীত। দুবাইতে হোটেলের বাইরে দেখেছে প্রচণ্ড গরম আর এখানে শীত। রাতের খাবার প্লেন
থেকেই খাইয়ে দিয়েছে বলে এখানে খাবার ঝামেলা নেই। যার যার রুমে ঢুকে শুয়ে পড়ল। সকালে
উঠে দুবাইর মত সবাই নিশাতের রুমে আসল। এখান থেকে এক সাথে নাশতা খেয়ে আসল। দুবাইর
মত এখানে ইন্ডিয়ান ডিশ নেই এখানে সব বিলাতি ইংলিশ নাস্তা। দুই তিন রকমের ব্রেড, বাটার, জ্যাম, ডিম, কলা এবং কফি।
নাস্তা খেয়ে নিচে রিসিপসন ডেস্কের পাশে হল রুমে বসল ওরা তিনজনে। এখানে দুবাইর মত
অত ভিড় নেই লোকজনও তেমন বেশি না। বসে থাকতেই ওদের ফোন এলো। কোম্পানির অফিস থেকে
ফোন করেছে। রিসিপসন থেকে ওদের দিকে তাকিয়ে রবার্ট বলল ‘হু
ইস নিশাত’?
ইয়েস আই এম নিশাত
প্লিজ টেক ইয়োর কল
হাই নিশাত গুড মর্নিং, আমি তোমার অফিস থেকে স্টেনলি বলছি
গুড মর্নিং স্টেনলি
কেমন আছ, পথে কোন অসুবিধা হয়েছে কি?
ভালো আছি, না কোন অসুবিধা হয়নি তোমাদের লোক জনেরা বেশ ভালো ভাবেই রিসিভ করেছে, দুবাইতেও যেমন এখানেও তেমন
বেশ, তা হলে তোমরা সবাই অফিসে চলে এসো
অফিসে?
হ্যাঁ এইতো হেঁটে আসলে মিনিট পনের লাগবে
কিন্তু আমরা যে কেউ অফিস চিনি না
ওহ সরি, তোমরা তো নতুন এসেছ,
আচ্ছা একটু অপেক্ষা কর আমি
গাড়ি পাঠাচ্ছি
আচ্ছা ঠিক আছে,
কথা শুনে বুঝতে পারলো ইংরেজ নয়। ঠিক আছে একটু পরে তো যাচ্ছি তখন দেখা যাবে কে। মেঝ
মামার কথা মত সব সময় ড্রেস আপ হয়েই থাকত, তা ছাড়া এটা
বিদেশ, এখানে সবার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।
ব্যাপ্টিস্টও বলে দিয়েছিল লন্ডনে যেন কখনও গরম কাপর ছাড়া কোথাও বের হবে না
নিশাত ওদেরকে বলল
চল বাইরে অপেক্ষা করি, অফিসে যেতে হবে গাড়ি পাঠাচ্ছে।
বাইরে বেশ ঠাণ্ডা
চার পাঁচ মিনিটের মধ্যে একটা নীল রঙের
গাড়ি এসে হোটেলের গেটে থেমে যে ড্রাইভ করছিল সে জানালা দিয়ে মুখ বাড়িয়ে জিজ্ঞেস
করল তুমি কি নিশাত?
হ্যাঁ
আমি অফিস থেকে তোমাদের নিতে এসেছি
ও আচ্ছা, বলে গাড়িতে উঠে পরল।
তিন চার মিনিটের মধ্যে এক বিশাল অফিস
বিল্ডিঙের গেট দিয়ে ঢুকে পরল। গেটের বাইরে পুরনো একটা বিরাট নোঙ্গর দাড় করা রয়েছে, গেটের ভিতরে ঢুকে বাম পাশে একটা গার্ডেন ক্লকে সকাল
সাড়ে আটটা বাজছে, আসে পাশে অনেক ছোট ছোট গাছ দেখ বুঝে নিল
এগুলি ফুল গাছ শীতের জন্য ন্যাড়া হয়ে গেছে হয়ত গরম কালে ফুল ফুটবে। নানা রঙের রকমারি পাথরে সাজানো, সামনের দেয়ালে অফিসের নাম লেখা ‘গ্রে ম্যাকেঞ্জি ম্যারিন সার্ভিসেস ই সি, লন্ডন’। এতো বড় আর
এত সুন্দর অফিস দেখে নিশাত অবাক হয়ে গেল, এই এত বড়
কোম্পানিতে কাজ করতে এসেছি! গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভার নেমে গেল। ওরাও ওর পিছনে নেমে
এলো। অটোমেটিক দরজা একা একা খুলে গেল, নিশাত
বিসমিল্লা বলে দরজার ভিতরে পা বাড়াল। ড্রাইভার
হাতের ইশারায় বাম দিকে যেতে বলে বেরিয়ে গেল। বাম দিকে একটু এগিয়ে যেতেই
একটা রুম থেকে এক ভারতীয় চেহারার অল্প বয়েসি এক লোককে বের হতে দেখল কিন্তু ওরা
চিনতে পারেনি যে এই স্টেনলি। লোকটা ওদের দেখে বলল
তোমরা এসে পরেছ, বেশ, আমিই স্টেনলি। এসো আমার সাথে
বলে ওদের ক্রু সুপার রামস বটমের রুমে
নিয়ে পরিচয় করিয়ে দিল। এ আবার ইংরেজ। ওদের বসতে বলল। কেমন লাগছে, কোন অসুবিধা হয়েছে কি না, এর আগে কখনো বিদেশে এসেছে কি না সব জেনে নিলো। নিশাত জানাল
আমি এই প্রথম বিদেশে এসেছি তবে এরা দুই
জন আগে জাহাজে কাজ করেছে। এবার রামস বটম ওদের সিডিসি দেখতে চাইল।
সিডিসি দেখে বলল হ্যাঁ তোমার সিডিসি
দেখছি একে বারে নতুন। বেশ,
আশা করি আমাদের কোম্পানিতে
কাজ করতে তোমার ভালোই লাগবে,
আচ্ছা স্টেনলি তুমি ওদের
কিছু টাকা এডভান্স দিয়ে দাও আর ওদের জাহাজ কবে আসবে সব কিছু বুঝিয়ে দাও।
আচ্ছা,
বলে ওদের নিয়ে আসার আগে রামস বটম উঠে
ওদের সাথে হ্যান্ডশেক করে আবার বলল
নতুন এসেছ, কাজেই সাবধানে থাকবে,
আর কোন অসুবিধা হলে সঙ্গে
সঙ্গে তোমার জাহাজের ক্যাপ্টেনকে জানাবে।
ধন্যবাদ জানিয়ে ওরা স্টেনলির সাথে বের
হয়ে স্টেনলির রুমে বসল। স্টেনলি কিছু কাগজ পত্র রেডি করে ওদের সই নিয়ে সবার হাতে
কিছু স্টার্লিং পাউন্ড দিয়ে বুঝিয়ে দিল এই এক পাউন্ড সমান এত ডলার এবং তোমাদের
বাংলাদেশের টাকায় এত টাকা। নতুন বিদেশে এসেছ ইচ্ছা মত খরচ করবে না। এদেশে কিন্তু টাকা খরচ করার অনেক পথ আছে কাজেই বুঝে
শুনে খরচ করবে। নেহায়েত যা একান্ত দরকার তাই কিনবে আর
বাকি টাকা বাড়িতে পাঠিয়ে দিবে। এক জন বিদেশির মুখে এ কথা শুনে নিশাত অবাক হয়ে গেল।
সত্যিই এই টাকার জন্যই দেশ, বাবা মা, ভাই বোন ছেড়ে
এতো দূরে আসা। এতো ত্যাগের টাকা কি আর যেমনে সেমনে খরচ করলে চলবে? এদিকে আবার জীবনের প্রথম বেতন স্টার্লিং পাউন্ডে
পেয়ে মনে একটা আনন্দও পেল। স্টেনলির প্রতি মন কৃতজ্ঞতায় ভরে গেল। রামস বটমই বা কম
কি সেও বলেছে সাবধানে থাকবে,
কোন অসুবিধা হলে
ক্যাপ্টেনকে জানাবে। বিদেশের মানুষ এত ভালো হয়? কাজে জয়েন করার আগেই টাকা! ভাবতেও কেমন অবাক লাগছে। আমাদের দেশে পুরো
মাস না গেলে টাকার চিন্তাই করা যায় না। নিশাত মনে করল একবার বাড়ির কাছাকাছি এক
ছেলেকে প্রাইভেট পড়িয়েছিল মাস দুয়েক কিন্তু তিনমাস পর সেই টাকা দিয়েছিল। এদের কি
দিয়ে বানিয়েছে নিশাতের মাথায় কিছু আসছে না। এদের সভ্যতা কেমন?
স্টেনলি আবার শুরু করল এবারে তোমাদের
কাজের কথায় আসি,
তোমাদের জাহাজ এখনো আসেনি, হয়ত আরও ২/১ দিন লেগে যাবে। ওরা ডান্ডি থেকে সেইল করবে, যাই হোক যেদিন আসবে আমি তার আগে তোমাকে ফোন করে
জানাব। এ কয় দিন তোমরা ঘোরা ঘুরি করতে পার তবে বেশি দূরে কোথাও যাবে না। ওরা পুরনো
মানুষ ওরা জানে ওদের কি কাজ,
তুমি কি জান? তুমি চিটাগাঙে যে এপয়েন্টমেন্ট লেটার পেয়েছিলে ওতে
বা যে আর্টিক্যালে সই করে এসেছ তাতে দেখেছ?
হ্যাঁ দেখেছি, আর ওখানে বুড়ো ব্যাপ্টিস্ট বলে দিয়েছে।
ও কে, মাই ফ্রেন্ডস তোমরা এখন যেতে পার, বাই, এখন মনে হয় একা যেতে পারবে তাই না?
হ্যাঁ পারব। কিন্তু,
কি কিন্তু কি?
আচ্ছা আমাদের সাথে যে হাবিব এসেছে যাকে
দুবাইতে জাহাজে নিয়ে গেছে ও কোন জাহাজে আছে বলতে পারবে?
হ্যাঁ বস দেখি,
কম্পিউটারে খুঁজে বলল ও আছে ফরিদা নামের
জাহাজে।
ওর সাথে যোগাযোগ করার কোন ব্যবস্থা আছে?
হ্যাঁ তুমি চিঠি লিখতে পার কিংবা কখনও
কাছাকাছি পোর্টে এলে তখন ভিএইচএফ দিয়ে কথা বলতে পারবে
চিঠি লিখলে খামে ভরে ঠিকানা লিখে
জাহাজের মেইল ব্যাগে করে এজেন্টের কাছে দিয়ে দিবে ওরাই ডাকটিকেট লাগিয়ে পোস্ট করে
দিবে।
তাই নাকি?
হ্যাঁ, অবশ্যই
যাক নিশ্চিন্ত হলাম,
কেন ও কি হয় তোমার?
না এমনি কিছু হয় না তবে আমরা এক সাথে
কলেজে পড়েছি আমার বন্ধু, আমাদের বাড়ির কাছেই ওদের বাড়ি।
গুড, তাহলে তোমাদের ভালোই হয়েছে, দুই বন্ধু
কাছাকাছি থাকতে পারবে।
হ্যাঁ তাই। তাহলে আমরা উঠি এখন।
বাই বলে হ্যান্ডশেক করে বের হয়ে এলো।
রুমের বাইরে এসে আবার এদিক ওদিকে দেখল
কি সুন্দর পরিষ্কার আর সাজানো অফিস, এতো মানুষ
কাজ করছে অথচ নীরব, কোন সারা শব্দ নেই, কোথাও একটু খানি কাগজের টুকরো পড়ে নেই সারাটা ফ্লোর
চকচক করছে।
গেট থেকে বের হয়ে গাড়ি যেদিক দিয়ে
যেভাবে এসেছিল সে পথ ধরে হেঁটে এদিক ওদিক দেখতে দেখতে এগিয়ে এসে ঠিক মরিসন হোটেলে
পৌঁছল। হোটেলে পৌঁছে নিজের মনে বেশ একটু আনন্দ পেল। যে পথে কোন দিন আসিনি, সব নতুন রাস্তা ঘাট, নতুন শহর নিজের দেশ থেকে অনেক দূরে ভিন্ন মহাদেশে একা একাই আসতে
পারলাম। যে পথে কোন দিন এই পায়ের ছাপ পরেনি সে পথ চিনে এসেছি।
[চলবে]
No comments:
Post a Comment
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি আপনার মতামত জানতে আগ্রহি।
আশা করি অতি শিঘ্রই আপনার মন্তব্য বা জিজ্ঞাসার জবাব পাবেন।