সাইফ আল মামুন ছোটখাটো একটা কোম্পানির
দায়িত্বশীল পদে চাকরি করছিলেন এবং ভালই ছিলেন। শুধু ভাল বললে কম হয়ে যায় মনে হয়
বেশ ভাল ছিলেন। হঠাৎ একদিন কাজের উপলক্ষে একটা নামি বড় কোম্পানির কর্তা ব্যক্তির
নজরে পরে গেলে তাকে এক লোভনীয় প্রস্তাব দেয় এবং তার জের ধরে মরীচিকার আশায়
রাজহাঁসের ডিমের মত চাকরিটা ছেড়ে সোনার হরিণের আশায় এই নামি এবং দামী কোম্পানিতে
জয়েন করেন।
এখনও মনে আছে সেদিন নামকা ওয়াস্তে প্রথমে
যখন এই কোম্পানিতে ইন্টার্ভিউ দিয়ে গেছেন তখন পদস্থ কর্তাদের সাথে বেশ সুন্দর
কথোপকথন হয়েছে বিশেষ করে মাথায় টুপি আর মেহেদী রাঙ্গা চুল দাড়ির আমিন ফরাসি
মিত্রের সাথে। লোকটার চেহারা দেখে কোন কামেল বুজুর্গ মানুষের মত মনে হয়েছে কিন্তু
তখন ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেনি এই চেহারার ভিতরে কত বড় কীট লুকিয়ে আছে। মানুষকে
ঠকাবার কত বড় মুখোশ পরে রয়েছে এই মানুষের চেহারার পশুটা। যদিও সেখানে মালিক পক্ষের
কেউ ছিল না, যারা ছিল তারা সবাই বেতন ভুক্ত। তার সিভি
দেখে মিত্র বাবু বলেই ফেলেছে
আপনার সিভি দেখে মনে হয় না যে আপনার চাকরির
প্রয়োজন আছে, আসলে আমরা এমন সিভি এর আগে পাইনি।
জি স্যার, চাকরিতে
থাকলে ডিসিপলিন্ড ওয়েতে থাকা যায়,
এতে শরীর মন সব ভাল থাকে বলে
চাকরির প্রয়োজন।
আচ্ছা ঠিক আছে, তা
কবে জয়েন করতে পারবেন?
যেদিন বলেন সেদিনই পারব, আমি এখন ফ্রি আছি।
বেশ, এভাবেই
এক দিন বিশাল এক ধু ধু বালুকণা ময় এক মরু প্রান্তরে এসে কাজে জয়েন করলেন। এখানকার
কর্তা হলেন ভুজঙ্গ প্রসাদ আলম,
এর চেহারা সুরত এবং কার্যকলাপও
হুবহু মিত্র সাহেবের মত। মামুন সাহেব ভাবতেই পারেননি যে এই বালিয়াড়িতে তার
কর্মক্ষেত্র হবে। সে যা হোক,
এভাবেই চলছিলেন। কিন্তু বাদ
সাধল তখন যখন মিত্র বাবু বলে ফেলল দেখুন মামুন সাহেব, আসলে
আপনাকে একটা অনেক বড় প্রজেক্ট দেখতে হবে এবং আমি আশা করি এখান থেকে আপনি নিজের
জন্য কিছু করে নিতে পারবেন এবং আমাদের বিষয়টাও একটু দেখবেন।
এই কথা শুনে মামুন সাহেব একটু থমকে গেলেন।
এ কি বলছে? এত কাল নানা জায়গায় চাকরি করেছি কিন্তু কই
এমন করে কখনও কেউ কিছু বলেনি বা নিজের জন্যেও এমন কিছু ভাবিনি। কাজের জন্য কাজ
করেছি। আচ্ছা দেখা যাক কি হয়।
কত বড় প্রজেক্ট স্যার?
তা ধরুন প্রায় দেড়শত কোটি টাকার প্রজেক্ট
হবে, ১% হলেও কত দাঁড়ায় ভেবেছেন? এই
কাজের জন্য আপনার যে পদের প্রয়োজন তা আপাতত দিতে পারছি না তবে যে পদ দিচ্ছি সেই
পদে থেকেই আপনাকে এই কাজ করতে হবে। আসলে পদে কি আসে যায়, কাজ
করাটাই মুখ্য। তাই না?
হ্যাঁ তাই।
কর্তা ব্যক্তিরা সিদ্ধান্ত নিলেন ১৭টি
কাজের মধ্যে ১০টি ঠিকাদার দিয়ে করাবে এবং ৭ টি নিজেদের লোকবল দিয়ে করাবে। নিজেরা
যেগুলি বানাবে সেগুলির নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গেল মামুন সাহেব জয়েন করার কয়েক দিন
পরেই। প্রথমত কিছু দিন গেল নিজেদের গুলি কি ভাবে তৈরি হচ্ছে সে সব দেখতে দেখতে।
কোম্পানিতে নানা রকম জটিলতা তৈরি করে দুই মুখোশ ধারি ঠিকাদারের কাজ শুরু করতে বেশ
বিলম্ব করছিল। আসলে ঠিকাদারের সাথে দর কষাকষিতে বনিবনা হচ্ছিল না বলে বেশ কিছু সময়
কেটে গেল। কিন্তু মালিক পক্ষের তাগাদায় এক দিন যখন ওই সব জটিলতা সমাধান না করে
একান্ত বাধ্য হয়ে নির্মাণ শুরু হল তখন তিনি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিলেন নিজের কাজে।
কাজের ভিত্তি, মানে ফাউন্ডেশন করা শুরু হল সেদিন থেকেই
মামুন সাহেব নিজ দায়িত্বে নানা প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে কাজ শুরু করলেন। প্রতিকূলতা
মানে নানা অজুহাতে এদিকের নির্মাণ কাজে বিঘ্ন তৈরি করে মামুন সাহেবকে অযোগ্য
প্রমাণ করার চেষ্টা করা। এদিকে তার সহকারী হিসেবে কোন লোকবল দেয়ার প্রয়োজন মনে
করছিলেন না। তিনি যখন বললেন এত বড় কাজ তদারকির জন্য আমার কিছু লোক জন প্রয়োজন। তখন
প্রসাদ বাবু বললেন
আপনি লোক দিয়ে কি করবেন?
ঠিকাদারকে মালামাল সরবরাহ সহ নানা
মালামালের সঠিক চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা থেকে তার হিসাব নিকাশ রাখতে হবে, কাজের ডিজাইন বা নক্সা অনুযায়ী নির্মাণ কাজ সঠিক ভাবে হচ্ছে
কিনা দেখতে হবে বা কাজের গুনগত মান নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তাছাড়া এত বড় কাজে যে সব
শ্রমিক নিয়োজিত থাকবে তাদের সমস্যা নিরসনের ব্যবস্থা নিতে হবে অর্থাৎ সম্পূর্ণ
লজিস্টিক সাপোর্ট দিতে হবে বলে কয়েক জন দক্ষ লোকের প্রয়োজন। কখন কার কি মালামাল
লাগবে, কখন ক্রেন লাগবে বা কখন ফর্ক লিফট লাগবে
এগুলিও দেখতে হবে।
আচ্ছা ঠিক আছে, এক
জন দিচ্ছি।
ওদিকে কমিশনের ব্যবস্থা করতে হবে আবার
এদিকে নিজেদের গুলি আগে নির্মাণ শেষ করে কোম্পানির কাছে বিশেষ বাড়তি কিছু সুবিধা
আদায় করবে। কর্তাদের মধ্যে এমন একটা ভাব মামুন সাহেব লক্ষ্য করছেন কিন্তু কিছু
বলতে পারছেন না। এই মাত্র এক জন লোক নিয়ে তিনি এগিয়ে চলেছেন।
এদিকে নিজেরা যেগুলি তৈরি করছেন সেগুলি
যাতে আন্তর্জাতিক মানের হয় সে জন্য শ্রেণীভুক্ত করিয়ে কোম্পানির কাছে সুনাম এবং
অতিরিক্ত সুবিধা আদায়ের জন্য কার্যকলাপ শুরু করলেন। যদিও মিত্র এবং প্রসাদ বাবু
জানতেন এটা কখনই সম্ভব নয়। কারণ শ্রেণিভুক্ত করতে গেলে যে ধরনের প্রক্রিয়া প্রয়োজন
তা তারা শুরু থেকে করেননি এখন মাঝ পথে এসে সেটা কিছুতেই সম্ভব নয়। এদিকে এই
ডিজাইনেও বেশ ত্রুটি ছিল।
এখানে কাজ করতে গিয়ে এক দিন মামুন সাহেব
লক্ষ করলেন বিদ্যুৎ বিভাগ ২০ লক্ষ টাকার তার কিনে ফেলে রেখেছে আর এখন টাকার অভাবে
ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ড বানাতে না পেরে নির্মাণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। অথচ এই বিভাগের
প্রধান প্রসাদ বাবুর নিজের ভাতিজা অতুল প্রসাদ যিনি বিদ্যুৎ বিভাগের প্রধান তার
বেতন কোম্পানির নতুন পে স্কেলে আশানুরূপ বৃদ্ধি হয়নি বলে তাকে দিয়ে রিজাইন দিয়ে
নতুন করে অধিক বেতনে নিয়োগ দেয়ার পাঁয়তারা করছে।
বেশ কিছু দিন পূর্বে কিছু সুবিধার বিনিময়ে
সিরামন হাওলাদারকে একটি মেশিন অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন কিন্তু ওই মেশিন আদৌ
নেই বলে তাকে তার নির্ধারিত কাজ না দিয়ে এদিক ওদিক অহেতুক ঘুরিয়েছে। এতে সে নিজে
অপমানিত ও বিরক্ত হয়ে স্বেচ্ছায় পদত্যাগপত্র দাখিল করে এবং তাতে প্রসাদ বাবু নিজের
অপকর্ম ঢাকার জন্য তাকে মানসিক রুগী এবং নেশাগ্রস্ত বলে উল্লেখ করেছে।
এক জন ইঞ্জিন ফিটার জনাব মোবারক শর্মাকে
দিয়ে মিত্র বাবু বাতিল মালামাল ক্রয় করে প্রচুর টাকা আত্মসাৎ করছে। শর্মা বাবুর
আরও একটা গুরু দায়িত্ব হল কারখানার কে কখন কি করছে সে সব যাবতীয় সংবাদ নানা রকম রঙ
চং ঢং মিশিয়ে মিত্র বাবুর কাছে পৌঁছান। তার রিপোর্টের ভিত্তিতেই মিত্র বাবু জটিল
সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। একই ভাবে ওই ইঞ্জিন ফিটার শর্মা বাবু এর মনোনীত মুগলাই
সাহেবকে দিয়ে মিত্র বাবু নানা কাজ করিয়ে অর্থের অপচয় করছে বা আরেক কথায় আত্মসাৎ
করছেন। ইতোপূর্বে নির্মিত একটি কাজের কিছু যন্ত্র এই মুগলাই সাহেবকে দিয়ে বানিয়েছে
এবং এই যন্ত্র গুলির মধ্যে একতার সাথে আর একতার ৪০ কেজি পার্থক্য বলে ওই কাজে বেশ
জটিলতা দেখা দিচ্ছে।
ক্লাস ভুক্ত হবে না জেনে শুনেও অহেতুক
কোম্পানির ৬০ লক্ষ টাকার অপচয় করে তারা নিজেরা যে কাজ গুলি করছে সেগুলি ক্লাস
ভুক্ত করার নামে কোম্পানির অর্থ অপচয় করার জন্য এই প্রচেষ্টা হাতে নিয়েছে। ক্লাস
ভুক্ত করার জন্য যে সকল মান নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন তা তারা হয়ত জানে না কিংবা
জেনেও অপচয় করার জন্য না জানার ভান করে। এখানে কথা হচ্ছে যদি তারা এ ব্যাপারে জানে
তাহলে কেন এই কাজ হাতে নিয়েছে?
আর যদি না জানে তাহলে এই বিশাল
অংকের অর্থ অপচয় করার আগে কেন তা জেনে নেয়নি?
পুরাতন প্লেট কেনার পারচেজ অর্ডারে
নির্দিষ্ট আনুমানিক মাপ ( যে মাপের প্রয়োজন তার কাছাকাছি মাপ) উল্লেখ না করে ফ্রি
সাইজ উল্লেখ করেছে এতে ক্রয় করা সকল প্লেট কাজে আসছে না বলে কোম্পানির প্রচুর টাকা
ক্ষতি হচ্ছে।
পূর্ব থেকে যে সব সুপারভাইজার নিয়োজিত
রয়েছে তাদের বেতন থেকে অনেক বেশি বেতনে নতুন সুপারভাইজার নিয়োগ দিয়ে সাবেক
সুপারভাইজার দের কাজে নিরুৎসাহিত করেছে।
কর্ম ক্ষেত্রে ঘুমানোর জন্য মাসিক উচ্চ
হারের বেতনে এজিএম নিয়োগ দিয়েছে। যে কিনা কোন দিন কোম্পানির কোন কাজে আসেনি।
সপ্তাহের মধ্যে অন্তত তিন দিন হয়ত সে ছুটি কিংবা বিলম্বে অফিসে আসতেন। আবার যতক্ষণ
সে অফিসে থাকত ততক্ষণ নানা শ্রেণীর কর্মচারীদের ডেকে এনে তার টেবিলে বসিয়ে মিটিং
নামের গল্প গুজব করেই কাটাত আর বাকী সময় ইন্টারনেটে উন্নত চাকরি এবং শেয়ার ব্যবসার
খোঁজ খবর নিয়ে কাটিয়ে দিত। এ ছারা আরও এমন ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দিয়েছে যিনি কোন কাজতো
বুঝেই না বরঞ্চ অফিসে এসে ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেয়। অথচ তার নিয়ন্ত্রণে থাকা নানান
মেশিন পত্র অকেজো হয়ে পরে রয়েছে এদিকে তার কোন খেয়ালই নেই। মিত্র বাবু বা প্রসাদ
বাবু এসবের কিছুই দেখেও না দেখার ভান করে চালিয়ে দিচ্ছে।
অধিক মূল্যে বাতিল ও অব্যবহার যোগ্য
পুরাতন ইকুইপমেন্ট যেমন ক্রেন,
শেয়ারিং মেশিন, রোলার মেশিন ও অন্যান্য মেশিন ক্রয় করে যা তেমন কোন কাজে
আসে না বরঞ্চ কাজের ব্যাঘাত ঘটায়। এক দিন কোন ভাবে কাজ হয় তো কয়েক দিন নষ্ট হয়ে
পরে থাকে।
প্রসাদ বাবু অফিস থেকে আই ফোন নিয়ে তার
ব্যবহার শেখার জন্য এক মাস সময় ব্যয় করেছে এবং এজন্য কোম্পানির আইটি অফিসারকে তার
নিজের কাজ বাদ দিয়ে এই ফোন ব্যবহার শেখাবার জন্য নিয়োজিত রাখতেন।
কোম্পানির অতি বিশ্বস্ততার সুযোগ নিয়ে
অর্থ বিভাগের জনৈক বড় কর্তা নিজের একটি মিনারেল পানির কোম্পানি চালাচ্ছে এবং মিত্র
বাবুর সহায়তায় বিদেশ থেকে অধিক মূল্যে বাতিল ক্রেন সংগ্রহ করেছে যা কোন কাজে আসে
নি। মডেলের ত্রুটি জনিত কারণে এই জাতীয় ক্রেন বর্তমানে নির্মাতারা আর তৈরি করে না
বলে এর স্পেয়ার পার্টস বাজারে নেই এমনকি এর চাকায় হাওয়া দেয়ার ব্যবস্থাও নেই।
প্রায় অনেক টাকা ব্যয় করে হাওয়া দেয়ার ব্যবস্থা নিলেও তা দিয়ে কাজ হয় না।
কোম্পানির বড় কর্তা সব সময় সবাইকে বলেন যে
“আমার এই কোম্পানি যেন সরকারি প্রতিষ্ঠানের মত না হয়” কিন্তু সত্যি কারে এটি এখন একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে
রূপান্তর করে রেখেছে যা কোম্পানির জানার বাইরে। বিগত দেড় বছর আগে যারা টার্মিনেট
হয়েছে তারা এখনও তাদের বকেয়া পাওনাদি পায়নি। যা এই কথিত মাত্র কয়েকজন কর্তার কারুকাজের
জন্য হচ্ছে। অথচ এগুলি দেখার কেউ নেই।
এই কোম্পানি মালিকের দক্ষ হাতে গড়ে উঠলেও
এটি এখন আর তার একার সম্পদ নয় এটি এখন জাতীয় সম্পদ, জাতীয়
গর্ব এবং অহংকার। অসংখ্য মানুষের জীবিকা এই গ্রুপের মাধ্যমে সংস্থান হচ্ছে।
এই সব নানান কিছু দেখে শুনে মামুন সাহেব হতবাক
এবং নির্বাক হয়ে অসহায়ের মত তার নিজস্ব গতিতে কাজ করে যাচ্ছিলেন। কারো কাছে কোন
সাহায্য সহযোগিতা পাওয়া তো দূরের কথা নানা ভাবে অ সহযোগিতা মোকাবিলা করে নিজের কাজ
চালিয়ে যাচ্ছিলেন এবং এটাই হল তার কাল। মিত্র বাবু যখন দেখলেন মামুন সাহেবের উপর
চাপিয়ে দেয়া কাজ তার নিজের কাজকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে অথচ তার নির্দেশ মত কোন বখরা তার
হাতে এনে দিচ্ছে না। তা তিনি মোটেও সহ্য করতে পারলেন না। ওত পেতে রইলেন কি ভাবে এই
আপদ দূর করা যায়। এই চিন্তায় অস্থির হয়ে রইলেন।
যখন কোন কুল কিনারা পাচ্ছিলেন না তখন কোন
অজুহাত না দেখিয়ে প্রশাসন থেকে তাকে বিতরণের একটা মানপত্র ইস্যু করিয়ে নিলেন এবং
আনন্দে তাক ধিনা ধিন করে নৃত্য পরিবেশন করলেন। এর পরে আবার তাদের মন মত আর একজনকে
তাদেরকে নিয়মিত বখরা আদায় করে দিবে এই অলিখিত চুক্তি করিয়ে নিয়োগ দিলেন। আর ভুল
করা যাবে না। মামুন সাহেব ভাল এক খেলা দেখিয়ে গেছে এই সুযোগ আর কাউকে দেয়া যাবে না, তাই আগে থেকে চুক্তি করে রাখাই নিরাপদ।
মামুন সাহেব ভেবে অস্থির, এত দিন শুনে এসেছে সরকারি অফিসের ইট পাথর পর্যন্ত বেতনের
চেয়ে ঘুষ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। বেতন লাগবে না দাদা উপরিটা পেলেই হবে কিন্তু এখানে এসব
কি?
এই পশুগুলি যে কবেই এদেশ থেকে দূর হবে আর
কবেই যে এদেশে উদয় হবে নতুন সূর্য,
কে জানে! সেই আশায় কতজনেই
মিথ্যে দিন গুনে যাচ্ছে তাই বা কে জানে!
No comments:
Post a Comment
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি আপনার মতামত জানতে আগ্রহি।
আশা করি অতি শিঘ্রই আপনার মন্তব্য বা জিজ্ঞাসার জবাব পাবেন।