৪২।
ফিরোজ
তার এই প্রিয় জায়গার বিবরণ দিতে গিয়ে তার বিয়ের প্রথম দিকের অনেক কথা বলে গেলো।
রাতে বিছানায় শুয়ে পড়েছি এমন সময় হঠাৎ মনে হলো তো সঙ্গে সঙ্গে দুজনে উঠে গাড়ি নিয়ে
এখানে চলে এসেছি তবে সেটা অবশ্যই
সামারে করতাম। শীতকালে তো সম্ভব না, আজ এলাম শুধু তোমাদের
দেখাবার জন্য। এমনকি রাতে দুই জনে গাড়ি নিয়ে কোথাও চলে যেতাম, এক নাগারে ২/৩ ঘণ্টা
যেয়ে আবার ফিরে আসতাম। একবার সাউথ ওয়েলসে চলে গিয়েছিলাম। ওখানে যেয়ে দেখি অনেক রাত
হয়ে গেছে,
সে রাতে
আর বাড়িতে ফিরিনি ওখানেই একটা হোটেলের রুম নিয়ে থেকে পরদিন দুপুরে ফিরেছিলাম।
-ভাবীর
কি শীত লাগছে?
-হ্যাঁ একটু
লাগছে।
-তাহলে
চলেন গাড়িতে বসি, গাড়িতে
হিটার চলছিলো এখনও গরম আছে।
গাড়িতে
বসে মনি রাশেদের কানে কানে বললো আমার ফেরার কথা ভাইকে বলে আমার টিকেট কনফার্মের ব্যবস্থা
কর। সামনের ভিউ মিররে দেখে ভাবী জিজ্ঞেস করলো-
-কি
ভাবী কানে কানে কি হচ্ছে?
-না, কিছু না, এই আমার ফেরার কথা
বলছিলাম।
-এতো
তাড়া কিসের? কয়েক দিন থাকেন তারপর দেখা যাবে। আবার কবে আসা হয় না হয় তার কি ঠিক
আছে? চলেন এখন একটা পার্কে
নিয়ে যাই।
বলেই
গাড়ি স্টার্ট দিয়ে মিনিট বিশেকের মধ্যে একটা বিশাল এলাকা নিয়ে পার্কের গেটের সামনে
এসে দাঁড়ালো। নামটা মনে নেই তবে চারিদিকের আলো এবং পার্কের ভিতরের আলো আঁধারি মিলে
মিশে কি যে এক মায়া ভরা দৃশ্য তা না দেখলে বোঝানো কঠিন ব্যাপার। এখানে পার্কের
পাশে গাড়িতে বসেই ফিরোজ তাদের জীবনের কিছু ঘটনা বললো ।
গাড়িতে
বসেই মনি বললো-
-ভাই
আমার টিকেটটা তাড়াতাড়ি কনফার্ম করে দেন। আমি যত তাড়াতাড়ি যেতে পারব তত তাড়াতাড়ি ও
কাজ শুরু করতে পারবে। আমার জন্য এখন একটা দিনও অনেক।
ভাবী
গাড়ি স্টার্ট করে বললো-
-তাহলে
এখন ফিরে যাই,
নাকি আর কোথাও
যাবেন, লং ওয়েতে? সেহেরীর আগে ফিরে আসব।
-না
ভাবী আর না যথেষ্ট হয়েছে এবার বাসায় চলেন।
[চলবে]
No comments:
Post a Comment
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি আপনার মতামত জানতে আগ্রহি।
আশা করি অতি শিঘ্রই আপনার মন্তব্য বা জিজ্ঞাসার জবাব পাবেন।