নক্ষত্রের গোধূলি-[১২৫]-৩৫



৭২।
আজ মঙ্গল বার। সেফ আসার কথাগত সন্ধ্যায় মারুফ চলে গেছে। এই লোক আবার কেমন কে জানে, এরা তো মোটামুটি চলছে। বিকেলে কাজে নেমেই ত্রিশ পঁয়ত্রিশ বৎসর বয়সের কালো একটু মোটা মত গায়ে অলিভ গ্রিন রঙের
জ্যাকেট সাদা প্যান্ট, হাতে কয়েকটা শপিং ব্যাগ এক অচেনা লোকের সামনে পল।
-এইযে শুনেন, আপনে কে?
-আমি কিচেন পোর্টার।
-ও আচ্ছা, ঠিক আছে আমার সাথে একটু আসেন
হাতের ব্যাগ গুলি নামিয়ে রেখে কিচেনের পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে গেলো রাশেদ সাহেব তাকে অনুসরণ করে বাইরে এসে রেস্টুরেন্টের কাঠের বেড়ার ভিতরে লোকটার গায়ের জ্যাকেটের মত অলিভ গ্রিন রঙের পিছনে বনেট খোলা একটা গাড়ির পাশে দাঁড়ালেনভিতরে বোঝাই মালামাল, ওগুলি দেখিয়ে বললো-
-এগুলি নিয়ে আসেন আমার সাথে।
একেকটা দশ কেজির চার প্যাকেট ফ্রোজেন চিকেন, এক প্যাকেট মনে হলো ফ্রেশ ভেড়ার মাংস, টমাটো গাজর ফুল কফি বিরাট এক রুই মাছ আরও টুকিটাকি অনেক কিছু। কাঁধে করে সব নামানো হলে লোকটা গাড়ি ঠিক করে পার্ক করে রেখে কিচেনে এসে হ্যান্ড সেক করে বললো-
-আমি দেলোয়ার।
-ও আচ্ছা, হ্যাঁ আমিও তাই অনুমান করেছিলাম।
-আপনে শুক্র বারে এসেছেন না?
-হ্যাঁ।
-সেদিন আমার স্ত্রীর ডেলিভারি তো তাই আমি ছুটিতে ছিলাম।
-হ্যাঁ শুনেছি, কি খবর?
-ভালোই, ছেলে হয়েছে সবাই ভালো আছে।
-বেশ ভালো। এগুলি কি করবো এখন?
-আসেন আমি দেখিয়ে দেই। চিকেন গুলির প্যাকেট ফেলে দিয়ে এই ফ্রিজে রাখবেন, সবজিগুলি যেভাবে আছে ওই ভাবেই বাইরের স্টোরে নিয়ে রাখেন, ভেড়ার মাংসগুলি আমাদের এগুলি আটটা ভাগ করে ব্যাগে ভরে এই ফ্রিজে রাখবেন। একটা পোটলা বাইরে রাখবেন আর কিমার প্যাকেটটা কোথায়? এই যে, হ্যাঁ ওইটাও বাইরে রাখবেন। আজ রাতে রেজালা হবে। ভেড়ার মাংস খান? মুখের দিকে তাকিয়ে বললো  মাছটা ড্রেসিং করতে পারবেন? মনে হয় পারবেন না! ঠিক আছে ওটা আমিই করব। মাথাটা আস্ত রাখবো, সেহেরিতে মুড়ি ঘণ্ট হবে। কী, ঠিক আছে? ঢাকাইয়া মানুষ মুড়ি ঘণ্ট পছন্দ করে, আপনে করেন না?
-হ্যাঁ করি।
-আচ্ছা এবার এগুলি গুছিয়ে রাখেন। আমি দেখি আমার কবির মিয়া কি করে রেখেছে।

রাশেদ সাহেব মালামালগুলি গুছিয়ে রেখে এসে দেখে উপর থেকে সবাই নেমে এসেছে। সেফ সাহেবের সাথে গল্প হচ্ছে। ছেলে দেখতে কেমন হয়েছে হাসপাতালে কি কি হয়েছে। রাশেদ সাহেব জানতে চাইলেন-
-এখন কি করবো?
-যান ফ্রিজ থেকে মাল বের করেন। ভাই আপনার নামটা কি বললেন যেন?
-আমাকে রাশেদ বললেই হবে।
-ও হ্যাঁ ঠিক আছে। ভাই আপনার ছেলেমেয়ে কি?
-আমার তিন মেয়ে।
-মেয়েরা কি করে?
রাশেদ সাহেব ফিরিস্তি দিলেন।
-বাহ বেশ ভালোই হলো আপনে যেদিন আসলেন সেদিনই আমার ছেলে হয়েছে কাজেই আমি ভাবছি আপনার ছোট মেয়ের সাথে আমার ছেলের বিয়ে দিব, কি বলেন?
-কি আর বলবো আপনার যদি এমন সখ হয়ে থাকে তাহলে দিবেন।
-তাহলেতো আপনে আমার বেয়াই হলেন।
-বেশ ভালো কথা।
-তা বেয়াই সাহেব চা টা কিছু খাওয়ান, আমিতো হাসপাতাল হয়ে বাজার করে অনেক ঘুরা ঘুড়ি করে এসেছি বলে আজ মিষ্টি আনতে পারি নাই আমি কাল আবার যাবো তখন মিষ্টি আনবো। কি মিষ্টি খাবেন?
-কি জানি ভাই আমিতো জানি না এখানে কি মিষ্টি পাওয়া যায় আর তা ছাড়া আমার মিষ্টি লাগবে না আমি এমনিই দোয়া করি যেন আপনার ছেলে ভালো থাকে, মানুষ হয়।
-কেন মিষ্টি লাগবেনা কেন?
-না ভাই আমি ডায়াবেটিসের রুগী।
-, তাহলে আপনার জন্যে নিমকি আনবো।

চায়ের জন্যে তার এই দুই দিনের পরিচিত ইলেকট্রিক কেটলি আনতেই সেফ বললো-
-আরে না ভাই এটায় না আমরা এতে চা বানাই না। এইযে আমাদের চায়ের জন্যে এই প্যান। এতে আমরা দেশের মত জাল দিয়ে চা বানাই। আর ওই চা হইলো ইংলিশ চা ওতে আমাদের পোষায় না।
-আমি একয় দিন জানতাম না আমিতো ওই চাই খেয়েছি।
-কেন কেও বলে নাই আপনাকে?
-না আমি যখন চা খাই তখন কেও ছিলো না। আসাদ ভাই উপরে থেকে বলে দিয়েছিলো আমি নিচে এসে বানিয়ে খেয়েছি। ঠিক আছে আজ বাংলা চা বানাই।
-তাহলে দেখে নেন মানুষ কত জন সবার জন্যেই বানান।
-বেশ, তাই হবে।

রাশেদ সাহেবকে কখনো চা বানিয়ে খেতে হয়নি। বাসায় কিংবা অফিসে কোথাও না। আজ তাকে তার কর্মস্থানে সবার জন্যে চা বানিয়ে দিতে হবে। রাশেদ সাহেব চায়ের পানি চুলায় বসিয়ে দিয়ে ভাবছিলেন আর দুধ চিনি চা পাতা আনছিলেন। ভাবলেন এটাও চাকরির একটা অংশ। শেষ পর্যন্ত চা হলো। সবাইকে যার যার জায়গায় কাপ পৌঁছে দিয়ে নিজে এক কাপে চুমুক দিলেন, না খারাপ হয়নি। পানির সাথে একটা তেজপাতা দিয়েছিলেন। ভালোই হয়েছে অন্তত তার তাই মনে হলো। দেলু মিয়াও চায়ের কাপে চুমুক দিয়েই বললো-
-বাহ! ফার্স্ট ক্লাস চ!

আজও কাজের তেমন কোন চাপ নেই ধীরে ধীরেই চলেছে ফাঁকে ফাঁকে আলাপ আলোচনা টুকি টাকি কথা বার্তা গল্প গুজব। কাজ শেষ, এবারে বন্ধ করার পালা। দেলু বললো-
-বেয়াই সাহেব কাল আপনের অফ কাল আপনের কোন কাজ নাই ছুটি, পয়সা পাইছেন,?
-হ্যাঁ রবিবারে পেয়েছি,
-বেশ তাহলে কাল বাইরে যাবেন ঘুরা ঘুরি করবেন। কোথায় যাইবেন ঠিক করছেন কিছু,
-না কোথায় আর যাবো একটু লাইবেরিতে যাবো তারপরে একটু ঘুরে দেখবো।



৭৩।
একটু বেশিক্ষণ ঘুমাতে চাইলেও হলো না। সারে এগারোটায় ঘুম ভেঙ্গে গেলো। উঠে নামাজ পড়ে রাতে ভিজিয়ে রাখা কাপর গুলি ধুয়ে শুকাতে দিয়ে রুমে এসে বসলেনআজ বাসায় ফোন করতে হবে মনি পৌঁছার পরে মনির সাথে কথা বলার সুযোগ হয়নি। ঘড়িতে প্রায় একটা বেজে গেছে। আর দেরি না করে কার্ডটা নিয়ে ফোনের কাছে গেলেনওপাশে রিং হচ্ছে মনির কণ্ঠ-
-হ্যালো,
-হ্যাঁ আমি, কেমন আছ তোমরা?
-এ কয়দিন ফোন করনি কেন? এখানে ভালো আছি সবাই তুমি কেমন আছ?
-আমিও ভালো, সেদিন যেতে পেরেছিলে ঠিক মত?
-তোমার কাজ কেমন চলছে কি অবস্থা খাওয়া দাওয়া কেমন? কেমন লাগছে কি কাজ করতে হয় পারো কিনা?
এক নিশ্বাসে সব প্রশ্ন করে একটু থামল।
-তোমার এতো প্রশ্নের জবাব দিতে সময় লাগবে তার চেয়ে আমি এখন লাইবেরিতে যাবো ওখান থেকে মেইলে সব কিছু লিখে পাঠাবো দেখে নিও এবারে বল তুমি কেমন করে গেলে রাস্তায় কি কোন অসুবিধা হয়েছিলো কায়সার বেয়াই সাহায্য করেছে?
-কায়সার বেয়াই নাকি তোমাকে এয়ারপোর্টে দাঁড়াতে বলেছিলো?
-কই না তো আমিতো তেমন কিছু শুনিনি আমিতো তাকে বলেই আসলাম বেয়াই আমি চললাম আমাকে অক্সফোর্ড যেতে হবে।
-না সেতো বললো  আমি চেক ইন করতে যাবার আগে বেয়াইকে বলে গেলাম একটু দাঁড়ান আমি এসে খুঁজে আর তাকে পাইনা উনি নেই চলে গেছে আমাকে একটু বলে গেলে কি হোত। মনে হয় সেই রাগে সারা পথে আমার সাথে একটা কথাও বলেনি এমনকি কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্টেও হোটেল নিয়ে ঝামেলা হয়েছিলো সেখানেও কোন সাহায্য করেনি তারটা সেরে দূরে গিয়ে বসে ছিলো আমি কাছে গিয়ে বলতে চাইলাম সে অন্য দিকে ঘুরে বসলো এদিকে আমি কিছু বুঝাতে পারছিনা কি একটা বিপদ পড়েছিলাম। হিথরোতে ওই যে তাল তলার যে লোকটাকে পরিচয় করে দিয়েছিলে সে তো এক বদমাইশ বলে কিনা চলেন ভাবী আমরা হোটেলে এক রুমেই থাকতে পারি আমি বললাম হ্যাঁ তাইতো তাই হবে একটু অপেক্ষা করেন। আবার কিউতে দাঁড়ালাম হঠাৎ এক বাঙ্গালি ভাইকে পেলাম ওখানেই ক্লিনারের কাজ করে, হাতে ব্রাশ ট্রলি নিয়ে পাশে দিয়ে যাচ্ছিলো তাকে বললাম ভাই আমার হোটেলের ব্যাপারটা একটু ঠিক করে দেন, আমার সাথে কেও নেই, ওরা কি বলছে আমিতো কিছু বুঝি না আমার কথাও মনে হয় ওরা বুঝে না। তখন ওই লোক কাউন্টারে গিয়ে ওদের ভাষায় কি কি সব বলে দেয় তারপরে ওরা আমার ব্যবস্থা করে। উনি বললো  আপনি এই লোকের সাথে যান বলে এক লোকের সামনে নিয়ে গেলো আমাকে দেখে বললো  আমি তোমাকে হোটেলে পৌঁছে দিব চিন্তা করবেনা। ইনি হোটেলে পৌঁছে দিবে আর ওখান থেকে ভোর চারটায় তুলে আনবে এখন এখানে বাজে রাত বারোটা আপনার ঘড়ি মিলিয়ে নেন। আমি বলেছি আপনার সাথে কেও নেই তাই আপনার সাথে আর কথা বলবে না আপনাকে হোটেলের রুমে পৌঁছে দিয়ে আসবে আপনি শুধু ভোরে সময়মত রেডি হয়ে থাকবেন যাতে করে এদের লোক হোটেলে গিয়ে আপনাকে ডাকলেই পায়। যাইহোক তখনকার মত তো বের হয়ে মাইক্রো বাসে উঠলাম সাথে আরও কয়েকজন ছিলো দশ পনেরো মিনিটের মধ্যে একটা হোটেলে পৌঁছে হোটেলের রিসিপশনের সামনে নিয়ে গেলো ওখানে পাসপোর্ট রেখে একটা রেজিস্টারে সই নিয়ে বয়ের হাতে একটা চাবি দিয়ে আমাকে ওর সাথে যেতে বললো শেষ পর্যন্ত এই বয় আমাকে এনে রুমে দিয়ে গেলো। ঢুকেই দরজা বন্ধ করে কাপর বদলে হাত মুখ ধুয়ে বসে রইলাম তখন প্রায় একটা বাজে। ওরা আমার সাথে এই গাড়িতে আসেনি মনে হয় ওদের অন্য হোটেলে পড়েছিলো অনেক প্যাসেঞ্জার তো। যাইহোক ভাগ্য ভালো বলতে হবে প্লেন থেকে নামার আগে খাবার দিয়েছিলো ক্ষুধা টুধা লাগেনি। রুমে টিভি ছিলো তাই চালিয়ে বসে রইলাম। সারারাত বিছানায় শুইনি একা একা ভয় করছিলো।

এভাবেই রাত কেটে গেলো চারটার আগেই উঠে রুমের মধ্যেই একটু হাঁটা হাটি করলাম চারটা বাজার দশ মিনিট আগেই ফোন, মনে হয় ইন্টার কম বেজে উঠলে ধরলাম রিসিপশনিস্ট বললো  নিচে যেতে। ব্যাগটা নিয়ে রিসিপশনিস্টের সামনে দাঁড়িয়ে নাম বললাম পাসপোর্ট বের করে দিল। এখন দেখি এয়ারলাইনের অন্য লোক, ইউনিফরম দেখে চিনলাম রিসিপশনিস্ট মেয়েটাও দেখিয়ে দিলো, মেয়েটা বেশ ভালো তোমার খুকুর মত হ্যাংলা লম্বা মালয়েশিয়ান যাই হোক গাড়িতে উঠলাম, এয়ারপোর্টে নামলাম ড্রাইভারই বলে দিল সাথের লোকজনের সাথে যেতে ওদের সাথে এসে লাউঞ্জে বসার কিছুক্ষণের মধ্যেই চেক ইন হলো। তারপর প্লেনে বসে সারা পথ যা ভেবেছি ঢাকা নেমে কি করবো, এখানেও কায়সার সেই একই ব্যাবহারযাই হোক এখন কি আর করবো, বললাম বেয়াই আপনি কিভাবে যাবেন?
-আমি ট্যাক্সি নিব।
-তাহলে আমাকে কল্যাণপুরে নামিয়ে দিবেন?
- না তা পারবো না আপনি এক কাজ করতে পারেন আমার সাথে চলেন ওখানে আমি বাসায় নেমে গেলে ওই ট্যাক্সিতেই আপনি যেতে পারেন।
আর কি করি নিজের শহরে পৌঁছেছি, এখন আর ভয় নেই তাই মেনে নিয়ে তার সাথে উঠলাম। এই যে আজিমপুর পর্যন্ত আসলাম সারা রাস্তায় একটা কথাও না এমনকি লাগেজটা ধরে উঠাতেও একটু সাহায্য করেনি। উনি আজিমপুর পর্যন্ত ভাড়া দিয়ে তার বাসায় নেমে গেলো, যাবার সময় কিচ্ছু বলে গেল না। আমি ট্যাক্সির ড্রাইভারকে বললাম ভাই আমাকে একটু কল্যাণপুর বাস ডিপোর সামনে নামিয়ে দিবেন, ড্রাইভারটা ভালো ছিলো সে আর কোন কথা বললো না এসে জিজ্ঞেস করলো এয়ারপোর্টে আপনার কেও যায় নাই?
-না আমিতো হঠাৎ করে এসেছি তাই কাউকে জানাতে পারিনি
-বাসা কোথায় যেতে পারবেন না কি দিয়ে আসব?
-না না এইতো কাছেই বাসা আপনি যেতে পারবেন না কষ্ট হবে চাপা রাস্তা আমি একটা রিকশা নিয়ে যেতে পারবো।
লোকটা রাস্তার মুখে ট্যাক্সি দাঁড় করিয়ে একটা রিকশা ডেকে বললো  ম্যাডামকে নিয়ে যাও এই যে লাগেজটা উঠাও আমি অবাক হয়ে গেলাম ড্রাইভারের কাণ্ড দেখে আমাদের বেয়াইর চেয়ে লক্ষ গুনে ভালো মানুষ এই লোক। ভাড়া যা এসেছে তার সাথে আমি বিশটা টাকা বেশি দিলাম খুশি হয়ে সালাম দিয়ে চলে গেলো।
বাসায় এসে শুনি শাহেদ এয়ারপোর্টে গেছে। কতক্ষণ পরে ও এসেই হৈ চৈ একা চলে এলাম বলে। বাসায় এসেই মনে হলো আজ বুঝি আমার পুনর্জন্ম হলো আমি যে এপর্যন্ত পৌছতে পারব আশা করিনি সারাটা পথ কি টেনশনে গেছে। একে তো তোমার চিন্তা কোথায় গেলে কিভাবে গেলে  কি করছ তারপরে নিজে কি করবো সাথে তো দুইটা অমানুষ রয়েছে ওই দুইটা যদি মানুষ হোত তাহলে আমার এতো কষ্ট হোত না। যাক আল্লাহর কাছে হাজার শোকর সহি সালামতে পৌঁছেছি বাসায় ঢোকার সাথে সাথেই তিন মেয়ে এক সাথে এইযে জড়িয়ে ধরলো আর ছাড়ে না।
এই পর্যন্ত এক নিশ্বাসে বলে মনি থামলো।

-তোমাকে বলে দিয়েছিলাম ঢাকায় নেমে বাসায় ফোন করবে যাইহোক যা হবার হয়ে গেছে। আচ্ছা মনি শোন প্রায় আধা ঘণ্টা হয়েছে লাইনে আছি আমার কার্ড প্রায় শেষ। এখন রাখি আজ আমার ছুটি এখন লাইবেরিতে যাচ্ছি ওখান থেকে আমি আমার কথা মেইলে পাঠাচ্ছি তুমি দেখে নিও।
[চলবে]

No comments:

Post a Comment

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি আপনার মতামত জানতে আগ্রহি।
আশা করি অতি শিঘ্রই আপনার মন্তব্য বা জিজ্ঞাসার জবাব পাবেন।