বিকেল বেলার বৃষ্টি [৬]-২
৪।
৪।
এর পর একে অপরের সাথে পরিচিত হতে যা আলাপ হয় তেমন অনেক কিছু। টুকিটাকি আলাপ করে কফি শেষ করে বলল
তোমার কি কিছু গরম কাপর দরকার?
হ্যাঁ এখানে এত শীত বুঝতে পারিনি তাই কেনা হয়নি
এখনই কিনে ফেল, চল তোমাকে কেনাকাটায় একটু হেল্প করি! এই সব কেনা কাটার জন্য
সোজা প্রাইমার্কে চলে যাবে, ওদের বিশাল কালেকশন আর দামও খুবই কম।
আমরা স্টুডেন্ট বলে আমাদের অত বিলাসিতা করা চলে না, তাই না?
এখন কিনতে বলছ?
নিতে হবে ব্যাস নিয়ে নাও!
কিন্তু আমি যে এখনো কিছু চিনি না
তাতে কি?
বললাম না আমি হেল্প করব, চল উঠি
বের হবার সময় মাহমুদ কফির দাম দিয়ে বের হয়ে এক সাথে সোজা হে মার্কেটের ভিতরে
যে প্রাইমার্কের আউট লেট রয়েছে সেখানে চলে এলো।
যা যা প্রয়োজন এক এক করে অনেক কেনা কাটা করে ফেলল। পোষাকের প্যাকেট নিয়ে বের
হয়ে এলো।
৫।
তুমি হেঁটে যাবে তাই না?
হ্যাঁ কাছেই
চল তোমাকে এগিয়ে দিচ্ছি, এত প্যাকেট নিয়ে একা কি করে যাবে!
তুমি এগিয়ে দিবে?
চল, আমার
কোন তাড়া নেই
দুইজনে ওয়েস্ট গেট রোড ধরে হাঁটতে হাঁটতে ওয়েস্ট গেট রোড এবং বাম দিক থেকে
ল্যাংকেস্টার রোড যেখানে মিশেছে তার মাথায়
পিজা শপের নিচে দিয়ে উঠে দোতলায় চলে এলো। সাবিহা পকেট থেকে চাবি বের করে ঘরের তালা
খুলে প্রথমে নিজে ঢুকে মাহমুদকে আসতে বলল। সাবিহার বাসাটা মোটামুটি। সামনে বিশাল
গোরস্তানের পাশ দিয়ে ওয়েস্ট গেট রোড পশ্চিম দিকেই চলে গেছে, গোরস্তানে
অনেক বড় বড় পুরনো গাছ। ডাইনে রাম মন্দির এবং তার একটু পরেই শিখদের গুরু দিওয়ারা, বায়ে
ল্যাংকেস্টার রোড দক্ষিণে চলে গেছে। বাসার নিচেই চৌরাস্তার ওপাড়ে বাস স্ট্যান্ড।
হাতের প্যাকেটগুলি সোফায় নামিয়ে রেখে সাবিহা জিজ্ঞেস করল
চা খাবে?
আরে না না মাত্র কফি খেয়ে এসেছি না! এখনই চায়ের কি দরকার?
এই প্রথম আমার বাসায় কেও এসেছে তোমাকে এখন কি দিয়ে আপ্যায়ন করি তাহলে?
ফর্মালিটি করতে চাইছ?
মন্দ বলনি,
শত হলেও আমি ইন্ডিয়ান। ঘরে অতিথি এলে কি খালি মুখে বিদায় দেয়া যায়?
হ্যাঁ তুমিও যেমন ইন্ডিয়ান আমিও তেমনি পারসি! এখন আমাদের পরিচয় হচ্ছে আমরা এখানে
স্টুডেন্ট,
কাজেই নো ঝামেলা, বুঝেছ? তারচেয়ে আমি এখন উঠি পরে আবার আসব।
প্রথম প্রথম একজন অজানা পুরুষের সংস্পর্শে সাবিহা একটু উপমহাদেশীয় দ্বিধার
মধ্যেই ছিল এ কথা অস্বীকার করা যাবে না। তাই বিশেষ জোরাজুরি না করে বলল
উঠবে?
তুমি কোথায় থাক যেন?
আমি থাকি সাউথ শিল্ডে, ওই যে আমরা যেখান থেকে শপিং করেছি
তার একটু সামনে এগিয়ে গেলেই নিউ ক্যাসেল রেল স্টেশন থেকে মেট্রোতে যেতে হয়।
অনেক দূর?
না না মিনিট বিশেক লাগে, একদিন যেয়ে দেখবে। ছোট্ট শহর কিন্তু
বেশ সুন্দর। এই এলাকায় কাছাকাছি পাঁচ টা শহর
তাই নাকি?
হ্যাঁ,
এইতো নিউক্যাসেল, ডারহাম, সাউথ শিল্ড, সান্ডারল্যান্ড
আর ডার্লিংটন তবে নিউ ক্যাসেলই সবচেয়ে বড়
সুযোগ মত সব জায়গায় যাব।
হ্যাঁ যাবে।
উঠতে উঠতে বলল দরকার হলে আমিও যাব তোমার সাথে। আচ্ছা তাহলে আমি এখন আসছি, কাল
দেখা হবে।
৬।
নেয়ামত উল্লাহ মাহমুদ বেরিয়ে যাবার পর সাবিহা বাইরের পোষাক বদলে ফ্রেশ হয়ে এসে
জানালার পর্দা সরিয়ে টিভি অন করে সোফায় বসল। টিভি দেখা হচ্ছে না। ভাবছে। ছেলেটা
খুব ভাল। যেমন সু পুরুষ তেমনি আচার ব্যবহার। হাসি খুশি। এই টুক সময়ের মধ্যেই কেমন
আপন করে নিয়েছে। মনে হচ্ছে কত চিনের চেনা। সত্যিই, এই শীতের
মধ্যে উপযুক্ত পোষাক না নিয়ে মস্ত ভুল করে ফেলেছিল। আর কখনও এমন হবে না। মন চলে
গেল কলকাতার আলিপুরে। নাদিম পরিষ্কার বলে দিয়েছে ওর জন্য সে অপেক্ষা করতে পারবে
না। সাবিহা অনেক বোঝাবার চেষ্টা করেছে, মাত্র দুইটা বছর! কিন্তু নাদিম মানতে
রাজি হয়নি। আসলে সে অন্য কিছু চেয়েছিল যা সাবিহা বিয়ের আগে দিতে রাজি হতে পারেনি।
লখনো থেকে আসা নাদিম ছাত্র হিসেবে ব্রিলিয়ান্ট। যাদবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের
সেরা ছাত্র। সাবিহা কলকাতার মানুষ হলে কি হবে ওদের বাড়ির ভাষা উর্দু। বাংলা বুঝতে
বা বলতে পারলেও মাতৃভাষা উর্দু। কলকাতার অন্যান্য অভিজাত মুসলমানদের যেমন।
নাদিমেরও তাই।
ইংল্যান্ডে আসার আগের দিন মুষলধারে বৃষ্টির বিকেলে বেহালার এক কাফেতে বসে
টেবিলে কফির পেয়ালা আর সামনের বড় রাস্তার দিকে চোখ রেখে বলেছিল
চল না আজ আমরা সেলিবরেট করি!
বৃষ্টির শব্দে প্রথমে শুনতে পায়নি বলে জিজ্ঞেস করেছিল কি বললে?
আবার একটু আমতা আমতা করে একই কথা বলেছিল
কি সেলিবরেট করব?
কেন আজকের এই বৃষ্টি ভেজা মধুর বিকেলটাকে আরও মধুর করে রাখি! একটা স্মৃতি হয়ে
থাক, কি
বল?
কি করে?
তুমি কি কিছুই বুঝতে পারছ না?
মনে মনে রেগে গেলেও নাদিমকে কিছু বুঝতে দেয়নি। এত দিনের সম্পর্কের এই পরিণতি
চাইছে নাদিম?
তাহলে এই কি তোমার আসল রূপ! অবাক হয়ে গিয়েছিল সাবিহা। সঙ্গে সঙ্গে উত্তর
দিয়েছিল
এইতো আর মাত্র দুইটা বছর, আমি ইংল্যান্ড থেকে ফিরে আসি বিয়ের
পর সবইতো পাচ্ছ কাজেই এত অস্থির হবার কি আছে? এত উতলা হলে
চলে?
না উতলা হচ্ছি না, তুমি অনেকদিনের জন্য চলে যাচ্ছ তাই ভাবছিলাম!
দেখ,
তুমি আমি দু’জনেই অত্যন্ত রক্ষণশীল পরিবার থেকে এসেছি, আমরা
এত খোলামেলা হতে পারি না।
ইচ্ছে করলে পারা যাবে না কেন? তুমি ইচ্ছে করলেই হয়
তোমার এই কেনর উত্তর আমি দিতে পারছি না
বলেই সাবিহা উঠে চলে এসেছিল।
পরদিন সন্ধ্যায় ফ্লাইট। দমদম থেকে মুম্বাই হয়ে নিউক্যাসেল। নাদিমের এয়ারপোর্টে
যাবার কথা ছিল কিন্তু মা বাবা ভাই বোনদের মাঝে থেকে সাবিহা ওকে আর খুঁজে দেখেনি।
গিয়েছিল কিনা তাও জানা হয়নি বা জানার ইচ্ছেও হয়নি। আসার পর ফোনও করেনি। ওর সাথে
কথা বলার মত আর কোন স্পৃহা নেই। দেখা যাক। নাদিম এই পুরুষ জাতিকে সহজে বিশ্বাস করার
কোন উপায় রাখেনি। বিগত পাঁচটি বছরের এই সম্পর্ক তার এই পরিণতি ভেবে নিয়েছিল? অথচ
সে এই সম্পর্ককে কতই না পবিত্র বলে ভেবে এসেছে এতদিন! অবাক কাণ্ড! সবই কি তাহলে
ছলনা? বিশ্বাস
বলতে যা বোঝায় তা নাদিম ভেঙ্গে ফেলেছে। হতে পারে এটা নর নারীর আদিম সত্য কিন্তু
তাই বলে এমন করে তা হবে? সাবিহা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না।
অনেক রাত হয়ে গেল। এবার উঠে ফ্রিজ খুলে কিছু খাবার বের করে মাইক্রোওয়েভে গরম করে
খেয়ে রুম হিটার চেক করে শুয়ে পরল। অরিয়েন্টেশন হয়ে গেছে। পরদিন ক্লাস আছে ঘুমাতে
হবে।
.৭।
মাহমুদ সাবিহার রুম থেকে বের হয়ে হেঁটেই
স্টেশনে চলে এলো। হাঁটছিল আর ভাবছিল মেয়েটা কি সুন্দর! লম্বা, গোলগাল
চেহারা, দারুণ
ফর্সা, ডান
গালের ঠিক মাঝখানে একটা বড় তিল যাকে বলে বিউটি স্পট। পেশায় সে নাবিক, অনেক
দেশেই গেছে কিন্তু এমন সুন্দর চোখে পড়েনি। কথা বলার ভঙ্গি তার চেয়েও সুন্দর। তাদের
ইরানেও কি কম সুন্দরী আছে! কিন্তু তাদের কারো সাথেই এর কোন তুলনা হয় না। কি পড়ছে
যেন বলল?
ও হ্যাঁ,
আইন এর ছাত্রী। ভাবতে ভাবতে কেমন যেন ঘোর লেগে এসেছে। রেজার কথা ভুলেই গেছে।
বাসায় এসে দেখে রেজা সোফায় বসে টিভি দেখছে।
কি রে,
তুই আমাকে লাইবেরিতে বসিয়ে রেখে আবার কোথায় ডুব দিয়েছিলি?
সংক্ষেপে সাবিহার কথা জানাল। শুনে রেজা বলল তুই পরীক্ষা হলেই এখান থেকে চলে
যাবি আর তাছাড়া সে ইন্ডিয়ান কাজেই কি হবে তার কথা ভেবে?
পরীক্ষার কথা বলছিস কেন? পরীক্ষা হয়ে গেলে এখানে থেকে যাব আর
সে ইন্ডিয়ান তাই কি হয়েছে? এমন বিয়ে হয় না? দরকার
হলে এখানেই সেটল করব!
কি জানি ভাল করে ভেবে দেখ। একদিন একটুখানি দেখেই এমন হুট করে সিদ্ধান্ত নেয়া
কি ঠিক হবে আর তুই এক তরফা ভাবলেইতো হবে না। সে কে কি এগুলি জানতে হবে না? তার
সম্মতির প্রয়োজন নেই ভেবেছিস? ওভার সিজ বিয়ে বড় কঠিন বিয়ে জানিস না? অনেক
হাঙ্গামা পোয়াতে হয়! তবে একটা ব্যাপার তোর পক্ষে আছে, সে মুসলিম।
দেখ আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি, ওর সম্মতি পেলে আমি ওকে নিয়ে দরকার
হলে এখানেই সেটল করব।
তুই কি পাগল হয়ে গেলি?
কেন হব না বল? তুই যদি ওকে দেখতি তাহলে তুইও তাই হতি!
যাক বাবা না দেখে ভালই হয়েছে। এখনও আমার অনেক কাজ বাকি আছে। তাছাড়া হয়ত তোর
সাথে কাড়াকাড়ি লেগে যেত। এখন চল খাবো, তোর জন্যে বসে আছি।
৮।
সকালে ঘুম থেকে উঠে চটপট কর্ণ ফ্লেকস আর দুধ দিয়ে নাশতা সেরে পায়ে হেঁটেই
ক্লাসে চলে গেল। গত সন্ধ্যার কথা মনে করে সদ্য কেনা নতুন পোষাক পরেই বের হয়েছে।
হাতের গ্লোভস,
গলায় স্কার্ফ নিতে ভুলেনি। ক্লাস শেষে রুম থেকে বেরিয়ে আসার পথে মালয়েশিয়ার
নাজিয়ার সাথে আলাপ হলো। করিডোর ধরে হাঁটছে আর কথা হচ্ছে। নাজিয়া এখান থেকেই
গ্রাজুয়েশন করেছে। ওর বার করার ইচ্ছে নেই মাস্টার্স হলেই দেশে চলে যাবে।
কেন,
চলে যাবে কেন?
আমার হবু বর সময় দিতে চাইছে না।
ও, আচ্ছা
এই ব্যাপার! যাক তবুও তোমার সাথে একটা বছর কাটাতে পারব। আমি নতুন এসেছিতো তাই মনে
একটু ভয় কাজ করছে।
ঠিক হয়ে যাবে এসব ভয় কয়েকদিন থাকে মাত্র। একদিন দেখবে তুমিই নতুনদের পরামর্শ
দিচ্ছ।
চল কফি খাই!
হ্যাঁ খেতে পারি, উফ! যা শীত পড়েছে! এখানে কি এমন শীত পড়ে?
এইতো নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রায় এমনই থাকে। নিউ ক্যাসেলে প্রায় সারা
শীত জুরেই স্নো থাকে, স্নো না হলে বৃষ্টি। বিশ্রী আবহাওয়া। এপ্রিলে স্প্রিং তখন
অনেকটা কমে যায় আর সেই সাথে কাপড় চোপরের বোঝাও হালকা হতে থাকে।
৯।
কথা বলতে বলতে ওরা ক্যাফেটেরিয়াতে এসে জানালার পাশে বসল। আজ ভীষণ শীত পড়েছে
গতকালের চেয়েও বেশি। বারে ঢুকে দুইজনে দুই কাপ কফি নিয়ে একটা টেবিলে বসতে বসতে
বাইরের দিকে তাকিয়ে নাজিয়া বলল
দেখবে আজ স্নো পড়বে।
আমি কলকাতায় বড় হয়েছি তাই কখনও স্নো দেখিনি
স্নো দেখতে ভারি সুন্দর লাগে, আমাদের দেশেও স্নো হয় না এমনকি ওখানে
তেমন শীতই পড়ে না
আমাদের দেশে কাশ্মীর, অরুণাচল প্রদেশেও স্নো পড়ে কিন্তু
আমি ওদিকে কখনও যাইনি, ভাল হয়েছে এবার দেখব
সাবিহার কথা শেষ হবার আগেই বাইরে বাতাসের ঝাপটা শুরু হলো আর তার সাথে সাদা
তুলোর মত স্নো ভেসে ভেসে পড়ছে দেখে নাজিয়া বলল
দেখ,
বলতে না বলতেই শুরু হয়ে গেল। কতদিন থাকবে কে জানে!
সাবিহা ঘুরে দেখল।
বাহ! বেশ সুন্দরতো! আমার মনে হচ্ছে বাইরে যেয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। উঠে জানালার পাশে
দাঁড়াল। জান আমরা কলকাতায় বৃষ্টিতে ভিজতাম। ঝুম বৃষ্টি হলে বাড়ির সবাই ছাদে চলে
যেতাম, এখানে
যেতে পারব?
বলে নাজিয়ার মুখের দিকে তাকাল
না না খবরদার, ভুলেও কখনও এমন কাজ করবে না, নির্ঘাত
মারা পড়বে! তবে তুমি ছাতা মাথায় পথে হেঁটে যেতে পারবে। ভাল কথা! তুমি কি থার্মাল
জুতা কিনেছ?
এখানে কিন্তু গরম জুতা ছাড়া স্নোর উপরে হাঁটবে না।
হ্যাঁ,
কালই কিনেছি।
তুমি থাকছ কোথায়?
এখানেই,
ওয়েস্ট গেট রোডে
এখানে কিন্তু ভাড়া বেশি! কত দিতে হবে?
সপ্তাহে ৫০ পাউন্ড
বল কি! আমি দেই মাত্র ২০ পাউন্ড!
কোথায়,
কেমন করে?
আমি এখানে থাকি না, সাউথ শিল্ডে থাকি ওখানে এক রুমের
একটা ঘর নিয়েছি তাতে আমি আর নেপালের জয়া দুইজনে মিলে থাকি তাতে আমাদের ২০ পাউন্ড
করে চল্লিশ পাউন্ড হলেই হয়ে যায়। তুমি নতুন এসে এখানে নিয়ে নিয়েছ এটা ঠিক আছে
কিন্তু পরে দেখে শুনে কাউকে পেলে সাউথ শিল্ডে থাকার ব্যবস্থা করতে পার এতে তোমার
অনেক সেভ হবে। ওখানে কম দামে জিনিস পত্র পাবে, পাশেই আবার
আজদা সুপার স্টোর আছে, খুব সহজেই সব কিছু হাতের নাগালেই পাবে।
সাবিহা একটু ভেবে দেখল, মনে হলো কাল মাহমুদও বলছিল ও সাউথ
শিল্ডে থাকে।
হ্যাঁ তাহলেতো ভালই হয়, তুমিও একটু দেখবে কাওকে যদি পাও
হ্যাঁ হ্যাঁ অবশ্যই দেখব।
[চলবে]
No comments:
Post a Comment
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি আপনার মতামত জানতে আগ্রহি।
আশা করি অতি শিঘ্রই আপনার মন্তব্য বা জিজ্ঞাসার জবাব পাবেন।