২৬৫।
কোথা দিয়ে কেমন করে দিন চলে যায়! নাতনী নাতিরা সবাই বড় হয়েছে, এখন
তারা স্কুলে যায়। নানা নানুর সাথে কত কথা, কত আবদার! নানু তোমরা আসছ না কেন? বাবা
আমাকে একটা সাইকেল কিনে দিয়েছে তুমি দেখবে না?
মা সেদিন স্কুলে যাবার পথে আমার
বন্ধু এন্ড্রুকে লিফট দিয়েছিল, তুমি জান? এমনি কত কী! রাশেদ সাহেব আর মনি
অস্ট্রেলিয়ার পার্থ থেকে কানাডার টরন্টো আবার ব্যাংকক ঢাকা করে মেয়েদের সাথে নাতিন
আর নাতির সাথে থেকে থেকে ক্লান্ত হয়ে পড়ে মাঝে মাঝে। গেলে কী আর শুধু ঘরে বসে থাকা
যায়? মেলবোর্নে রাশেদ সাহেবের বন্ধু থাকে তার সাথে একবার দেখা না করলে তার হয় না।
আবার সিডনির অপেরা হাউজ না দেখলে নাকি জীবন অপূর্ণ থেকে যায়। ওদিকে নায়াগ্রা না
দেখলে কিছুই দেখা হয় না। ক্যালিফোর্নিয়া আর টেক্সাসেও রাশেদ সাহেবের বন্ধুদের কাছে
একবার যেতেই হবে। এমনি কত হাঙ্গামা! এই বুড়ো বয়সে কী শরীর এত কিছু মানতে চায়? মনি বলে কত দৌড়া দৌড়ী করা যায়? এত শখ
করে গ্রামে বাড়ি করলাম ওখানে থাকারই সুযোগ পাচ্ছি না। কয়েকবার পার্থ আর টরন্টোতে
থেকে ওখানে যারা স্থায়ী বাসিন্দা রিটায়ার্ড করেছে কিংবা তাদের মত ছেলে বা মেয়েদের
সাথে থাকছে তেমন কয়েকজনের সাথে রাশেদ সাহেবের বেশ ঘনিষ্ঠতা হয়েছে। যেখানেই যাক
রাশেদ সাহেব আড্ডায় মেতে থাকতে পারেন বলে সে ভালই থাকে। তার জন্য বাঙালি অবাঙ্গালি
সব সমান, সে সবার সাথেই মিশতে পারে। তার কোন ভৌগলিক সীমানা নেই।
তবুও দেশের জন্য মনটা মাঝে মাঝেই কেমন করে উঠে। আসলেই আমি একজন যাযাবর। আমার
স্থায়ী কোন ঠিকানা নেই। সারাটা জীবন বেদুইন আর জিপসিদের মত পথে পথেই কেটে গেল!
জীবনে কত লক্ষ মাইল পথে কাটালাম? আর কত?দেশে শ্বশুরের ভিটাতে যাও বা একটা বাড়ি হলো
তাতেও থাকার সুযোগ হচ্ছে না কিন্তু মনিকে এসবের কিছুই বুঝতে দেয় না।
মেয়েদের কাছে থাকতে গিয়েসারা পৃথিবী ঘোরা হলো। একজন মা একজন বাবা
কত জায়গায় থাকবে?এত ভাবনার কি আছে? কয়েক মাস করে সবার সাথেই
থাকতে হবে। সবাই আমাদের নিজেদের সন্তান কাকে বাদ দিয়ে কার কাছে থাকবে? বীথী যখন
ঢাকায় পোস্টিং পাবে তখন ঢাকায়ই থাকবে। এদেশ ওদেশ করে করে অনেক দিন হয়ে গেল কিন্তু
এবার তাদের দিন ফুরিয়ে এসেছে। জীবন নামের ইঞ্জিন চালাবার জন্য যতটা তেল নিয়ে এই
মাটির পৃথিবীতে এসেছিল তা প্রায় তলানিতে এসে পড়েছে। তেল ফুরিয়ে এখন শুকনো সলতে মিটমিট করে জ্বলে এক সময় নিভে যাবে।
মনিরা প্রায়ই অসুস্থ থাকছে শরীরও ভেঙ্গে পড়েছে। বিদেশে উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছে বলে
অতটা খারাপের দিকে যাচ্ছে না বা বেশি ভুগতেও হচ্ছে না কিন্তু তেল ফুরিয়ে গেলে যে
আর কিছু করার নেই। যে কোন সময় নিভে যাবে। এটাইতো সতসিদ্ধ! তিথি অস্ট্রেলিয়া যাবার আগেই মনির চুল অর্ধেকের বেশি
সাদা হয়ে গেছে তবে রাশেদ সাহেবের সে তুলনায় অনেক কম।
২৬৬।
মনি সবাইকে বললো আমি আর বিদেশে কোথাও থাকব না, আমাকে
নিয়ে বাড়ি চল, গালায়আমার বাবার ভিটায় নিয়ে চল। জোরাজুরি করে তবুও
কিছুদিন রাখা হলো কিন্তু মনি আর সময় দিতে চাইছে না। আমাকে নিয়ে শিগগীর দেশে চল।
যূথী আর ছোট জামাই মায়ের কাকুতি মিনতি শুনে মন ভার করে মা বাবাকে ঢাকায় পাঠিয়ে
দিল। এয়ারপোর্টে এসে অনেকক্ষণ মা বাবাকে একসাথে জড়িয়ে ধরেআস্তে করে বললো আবার কবে
আসবে আম্মু? একটু সুস্থ হয়েই আবার আসব মা, এবারের মত যেতে দাও, কান্নাকাটি করেনা
লক্ষ্মী মা। এখন তোমরা নিজেরাই মা হবে বাবা হবে। সেদিন যূথী কিছুতেই বুঝতে পারেনি
মায়ের সাথে তাদের এই শেষ দেখা, যদি বুঝতেই পারত তাহলে কি আর ছেড়ে দিতে চাইত?
কানাডা থেকে ফিরে এসেছে কয়েক দিন হয়েছে। একদিন হঠাৎ করে মনি অসুস্থ
হয়ে পড়ল। তাড়াতাড়ি ঝিটকা থেকে গাড়ি ভাড়া করে ঢাকায় বড় বোনের বাড়িতে নিয়ে আসা হলো।
মেঝ জামাই এসে নামি হাসপাতালে ভর্তি করল কিন্তু কয়েকদিন হাসপাতালে থেকে সুস্থ না
হয়ে রাশেদ সাহেবকে একা করে দিয়ে চলে গেল যেখান থেকে এসেছিল সেই দেশে। একদিন সকালে
হাসপাতালে রাশেদ সাহেব বিছানার পাশে মনির হাত ধরে বসে আছেন। মনি বললো একটু পানি দাও, রাশেদ
সাহেব উঠে পানি ভরে গ্লাসটা ধরে মাথা উঁচু করে খাইয়ে দিলেন। হাতের গ্লাসটা পাশে নামিয়ে রেখে আবার মনির
হাত ধরে পাশের টুলে বসলেন। পানি খেয়ে মনি চোখ মেলে স্বামীর মুখের দিকে তাকিয়া রইল। রাশেদ সাহেব
জিজ্ঞেস করলেন কি দেখছ? মনি বললো -আমাকে তুমি মাফ করে দিও, সারাজীবন তোমার পাশে
থেকেও তোমাকে আমি চিনতে পারিনি তোমার উপযুক্ত ভালবাসা আমি তোমাকে দিতে পারিনি, আর
আমাকে আমাদের নিজেদের গ্রাম গালায় নিয়ে যেও, যে ঢাকা শহর তোমাকে আশ্রয় দেয়নি
তোমাকে শুধু বঞ্চনা দিয়েছে সেখানে আমি শান্তি পাব না। বলার সাথে সাথে মাথা কাত হয়ে
গেল, চোখ বন্ধ হয়ে গেল। রাশেদ সাহেব তখনো হাত ধরে রেখেছেন, বুঝতে
পারেনি মনির এই চোখ আর কোনদিন খুলবে না, এই চোখ দিয়ে তাকে
আর কোনদিন দেখবে না, খুকুর বাবা শুনছ’ বলে আর কোনদিন ডাকবে না।
-মনি!
আবার ডাকলেন, -মনি শুনছ!
এমন সময় আহসান ঢুকে শাশুড়ির দিকে একনজর তাকিয়েই দৌড়ে বের হয়ে পাশের
রুম থেকে নার্সকে ডেকে আনল। নার্স এসে হাতের পালস দেখে রাশেদ সাহেবের হাত থেকে মনির হাত ছাড়িয়ে চাদর
দিয়ে মুখটা ঢেকে দিল। রাশেদ সাহেব অবাক
হয়ে নার্সের কাণ্ড দেখছিলেন। -কি
হয়েছে ওকে এভাবে ঢকে দিচ্ছেন কেন? কিছু না বলে রাশেদ
সাহেবের মুখের দিকে একটু তাকিয়ে নার্স চলে গেল। রাশেদ সাহেব দূ্র থেকে ভেসে
আসা গোধূলির করুণ সুর শুনতে পেয়ে নিশ্চল নিস্তব্ধ
পাথরের মত বসে রইলেন।
আহসান সাথে সাথে বীথী, আপা আরশ্যালিকাকে
মোবাইলে ফোন করে জানিয়ে দিল। একটু পরে মনির বড়আপা খাবার নিয়ে এসে শুনল এই ঘটনা। হাসপাতাল
থেকে বের হয়ে সরাসরি গালা এসে আনুষ্ঠানিকতা সেরে পুকুর পাড়ে রাস্তার পাশে দীর্ঘ
জীবনে অনেক চড়াই উৎরাই পথে চলা ক্লান্ত মনিকে চিরদিনের বিশ্রামের জন্য শুইয়ে দিল।
মনি কোনদিন কিছু বলেনি সে এখন কি করবে? রাশেদ সাহেব কাঁদতে
পারলেন না। মনি আমাকে একা
রেখে চলে গেল! তার জীবনের সমস্ত দুঃখ মান অভিমান, চাওয়া পাওয়া সবই ছিল মনিরকাছে
সেই মনি তাকে একা করে দিয়ে চলে গেল! মনির বুকেই ছিল তার একমাত্র আশ্রয়, অভিমানী
রাশেদ সাহেবের আর কোন আশ্রয় রইল না। তার সব কান্না মুছে গেছে অনেক আগেই, বাইশ
বছর আগে যেদিন হিথরো থেকে মনিকে বিদায় দিয়েছিলেন। মেয়েরা কেও দেশে নেই।
আহসানের খবর পেয়ে এক এক করে সবাই এসে মায়ের কবর দেখে দোয়া মহফিলের আয়োজন করল।
২৬৭।
মেয়েরা, নাতনি নাতিরা সবাই যাবার সময় রাশেদ সাহেবকে নিয়ে যেতে জেদ
করল কিন্তু রাশেদ সাহেবের এক কথা আমি তোমাদের মাকে রেখে কোথাও যাব না আমাকে নিয়ে
তোমরা টানাটানি করবে না, তোমাদের মা একা
থাকতে পারবে না। আহসানও অনেক অনুরোধ করল
অন্তত তার সাথে ঢাকা যাবার জন্য কিন্তু তার ওই এক কথা। শেষ পর্যন্ত ছোট মামিকে
বাবার দায়িত্ব দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে সবাই চলে গেল।
রাশেদ সাহেবের নাওয়া খাওয়া প্রায় নেই বললেই চলে, কারো
সাথে কোন কথাও বলে না। শারমিন এসে মেঝ আপার কবরের পাশে বসে থাকা দুলাভাইকে টেনে
নিয়ে গোসল করিয়ে খাইয়ে দেয়। শুধু আজান হলে মসজিদে যেয়ে নামাজ আদায় করেই আবার ফিরে আসে মনির পাশে। এভাবেই
দিন যায় রাত যায়। মাস দুয়েক পরে বীথী ছেলেকে নিয়ে
আসল বাবাকে নিয়ে যাবার জন্য। ওর ট্রান্সফার হয়েছে ঢাকায়। কয়েক দিন বাড়িতে থেকে
বাবাকে অনেক বোঝাল কিন্তু বাবার সেই এক কথা আমি গেলে তোমার মা একা থাকতে
পারবে না। আমাকে কোথাও যাবার কথা বলবে না আমি এখানে ওকে একা রেখে কোথাও যেতে পারব
না।
-আচ্ছা ঠিক আছে আব্বু তুমি ওখানে থেক না কিন্তু আমার সাথে চল
কয়েকদিন থেকে না হয় আবার চলে এসো! আমি ঢাকায় আসার আগেই আম্মু চলে গেল তুমিও যদি
আমার কাছে না থাক তাহলে ঢাকায় এসে আমার কি লাভ হলো? বলেই
কেঁদে ফেলল।
মায়েরপাশেদাঁড়িয়েছেলেওনানাকেসাথেযাবারজন্যবলল।হাতধরেটানাটানিকরল।
নির্বাক রাশেদ সাহেব নাতিকে বুকে জড়িয়ে ধরে মেয়ের মুখের দিকে
তাকিয়ে রই্লেন অনেকক্ষণ। হঠাৎ কি মনে হলো কে জানে, বললেন-
-তুমি যাও আমি কয়েকদিন পরে একাই আসছি।
-আসবে তো?
-হ্যাঁ আব্বু।
-সেই যাবেই যখন তাহলে আমার সাথেই চল না! না হয় আমি দুইএক দিন দেরি
করি!আমাদের নিতে গাড়ি এসেছে, গাড়ি চলে যেতে বলি?
-তুমি এখন যাও আব্বু আমি দুইদিন পরেই আসব।
-ঠিক যাবে তো?
-হ্যাঁ আব্বু।
-তাহলে আমি বিকেলে যাই?
-এসো।
-আমি গাড়ি পাঠিয়ে দিব, তুমি কিন্তু আবার
একা বাসে করে রওয়ানা দিও না।
-আচ্ছা আব্বু।
মাঝু গোছগাছ করে রেখে বাবাকে সাথে নিয়ে ছোট মামির বাড়ি খেয়ে এসে
ছেলেকে নিয়ে বের হলো। রাশেদ সাহেবও বের হলেন মেয়েকে, নাতিকে এগিয়ে দেয়ার জন্য, সাথে
শারমিনও আসল। কিছুটা হেঁটে গ্রামের শেষ মাথায় বড় আম গাছটার কাছে এসে মাঝু বললো-
-আব্বু তুমি বাড়ি যাও আর আগাতে হবে না, আমি
যেতে পারব।
বাবাকে বুকে জড়িয়ে ধরে অনেকক্ষণ কাঁদল।
-আব্বু তুমি দেরি করো না পরশুদিনের পরের দিন সকালে আমি গাড়ি পাঠাব
তুমি চলে এসো আমি এখন ঢাকায়ই থাকব।
বলে বাবার গালে সেই ছোট বেলার মত একটু গাল ঘসে পিছনে ঘুরে আঁচলে
চোখ মুছতে মুছতে ছেলের হাত ধরে হাঁটা শুরু করল, ছোট
মামিও মাঝুর সাথে এগিয়ে গেল। সামনের রাস্তায় গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে।
২৬৮।
বীথী চলে যাবার পর রাশেদ সাহেব পথের পাশে হাফিজ চাচার ভিটার শেষ
মাথার পুরনো আম গাছটার নিচে অনেকক্ষণ সজল চোখে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন, মাঝে
মাঝে পাঞ্জাবির কোণা দিয়ে চোখ মুছছিলেন। যতদূর দেখা যায় দেখলেন। পরে অনেক দূরে
গ্রামের মেঠো পথের আড়ালে চলে যাবার পরেও পথের দিকে চেয়ে দাঁড়িয়েই রইলেন। মা, তুমি কি
আমাকে আর কোন দিন দেখতে পাবে? অস্ফুট স্বরে কথাটা
নিজের অজান্তেই বেরিয়ে এলো। পাশে দিয়ে মোজাহার বিশ্বাস যাচ্ছিল।
-কি রাশেদ, মেয়ে চলে গেল নাকি, এগিয়ে
দিতে এসেছিলে?
-হ্যাঁ, মা চলে গেল।
-তাহলে চল বাড়ি যাই, ও অনেক দূরে চলে
গেছে আর দেখা যাবে না।
-চল।
বাড়ি ফিরে এসে বিছানায় গড়িয়ে পড়লেন, মাথাটা কেমন ঝিমঝিম করছে।
আসরের আজান শুনে উঠে মনির কবরের কাছে কিছুক্ষণ বসে থেকে ফিরে এসে অজু করে এক গ্লাস
পানি খেয়ে বের হয়ে পথের পাশে মনির কবরের পাশে এসে আবার একটু দাঁড়ালেন। এমরানের
বাড়ির সামনে এসে একটু দাঁড়িয়ে ওদিকে একটু তাকিয়ে আস্তে আস্তে হেঁটে পাশের মসজিদে
গিয়ে নামাজে দাঁড়ালেন কিন্তু নামাজ শেষ করতে পারলেন না, শেষের
দিকে কেমন যেন সব কিছু এলোমেলো মনে হলো, মাথা ঘুরছে, চারিদিক
ঝাপসা হয়ে গেল আর সাথে সাথে মেঝেতে পড়ে গেলেন। নামাজ শেষে অন্যান্য মুসল্লি
গ্রামবাসীরা তুলে দেখে খুব ধীরে ধীরে শ্বাস বইছে।
-কি হয়েছে রাশেদ?
কোন জবাব নেই। সবাই মিলে ধরে তাড়াতাড়ি বাড়ি এনে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে
শারমিনকে ডেকে আনল। একজন দৌড়ল ডাক্তার ডেকে আনতে।
-কি হয়েছে দুলাভাই? কেমন লাগছে?
বলেই চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে দিল কিন্তু দুলাভাই কোন জবাব দিতে
পারলেন না হয়ত তার কানে এই শব্দ পৌঁছেনি। রাশেদ সাহেবের জীবনে গোধূলি নেমে এসেছে
আর একটু পরেই তার রাতের আকাশ কাল আঁধারে ছেয়ে যাবে। সেই কাল আকাশে কি থাকবে মনি, তিথি, বীথী
এবং যূথী নামের কয়েকটা তারা?
---------------------০০০০০০০০০০০০০০০০০-------------------------
আপনার নক্ষত্রের গোধুলী সবগুলো পর্ব পড়লাম। কি মন্তব্য করবো, ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা। মনে হচ্ছে কাহিনী আপনার জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এমনই হয় মানুষের জীবন। এমন করেই পরিবারের যাদের জন্য জীবনী শক্তি নিঃশেষ করা হয়, তারাই বড় আঘাত দেয়।
ReplyDeleteঅনেক শুভেচ্ছা রইলো।
প্রথমত, এই ব্লগে সর্ব প্রথম মন্তব্য করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি উষ্ণ ধন্যবাদ। একান্ত ধৈর্য নিয়ে এই বিশাল উপন্যাস পড়ার জন্য আবার ধন্যবাদ।
Deleteআমি চেয়েছিলাম জীবন ঘনিষ্ঠ বাস্তবতার ছোয়া মাখা কোন গল্প উপহার দিতে। আপনার মন্তব্যে মনে হচ্ছে আমি কিছুটা হলেও চেষ্টা করতে পেরেছি। এজন্যে আবার ধন্যবাদ।
আসলে নাটক, সিনেমা বা উপন্যাস যাই বলেন না কেন এর কোন কিছুই কিন্তু আমাদের জীবনের বাইরের কিছু নয়। আমাদের কল্পনা শক্তি এর বাইরে দেশীদূর যেতে পারে না। এটাই জীবন এটাই উপন্যাস।
জেনে খুশি হবেন এই উপন্যাস এবার ২০১৬ বইমেলায় নওরোজ সাহিত্য সম্ভারের প্রকাশনায় প্রকাশ হয়েছে।
আপনি ইচ্ছে করলে প্রথম পাঠক হিসেবে একটা কপি লেখকের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে পেতে পারেন। আপনার বর্তমান কুরিয়ার ঠিকানা আমার মেইলে জানালে পাঠিয়ে দেব।
শুভকামনা।