১৪৯।
এই
ইংরেজ জাতি আমাদের উপ মহাদেশকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে এসেছে, ভাইয়ে ভাইয়ে লড়াই
বাধিয়ে এসেছে,
হিন্দু
মুসলিমের যুদ্ধ বাধিয়েছে এমনকি মুসলিমের মধ্যেও ভাগাভাগি করে এসেছে। জুলুম
জালিয়াতি,
লুঠ তরাজ
থেকে
শুরু করে কি না করেছে এদের পূর্ব পুরুষ। মসলিনের উৎপাদন বন্ধ করার জন্য
কারিগরের আঙ্গুল কাটা থেকে নীল চাষের নামে যে অত্যাচার করেছে সে কি ইতিহাসে নেই? এদের রানীর মাথার
মুকুটে যে হীরা এদের সোভা ও মর্যাদা বৃদ্ধি করছে সেও আমাদের দেশ থেকেই চুরি করে
এনেছে। সারা পৃথিবীতেই ব্যবসার নামে ঢুকে সে দেশ শাসন থেকে শোষণ করলেও এদের ইতিহাসে
কিন্তু এদের পূর্ব পুরুষদের সুগন্ধি সাবানে ধোয়া তুলসী পাতা বানিয়ে রেখেছে।
বর্তমান বংশধরকে এদের আসল চেহারা লুকিয়ে রেখে কাল্পনিক বীরত্বের কাহিনী তুলে
ধরেছে। সারা বিশ্ব থেকে চুরি করে আনা সম্পদ দিয়ে নিজেদের দেশ সাজিয়েছে, একথা বর্তমান প্রজন্ম
জানেই না। এদের পূর্ব পুরুষদের দূরদৃষ্টি ছিলো এবং ক্ষমতা ছিলো বলেই এমন পেরেছে।
তবে বর্তমান প্রজন্মের রূপ সম্পূর্ণ ভিন্ন স্রোতে বইছে। এদের অধিকাংশই নানা রকম
নেশায় আসক্ত হয়ে গেছে।
মদ তো
এদের সাধারণ ব্যাপার এ নিয়ে কেও মাথা ঘামায় না বা এটা মাথা ঘামাবার বিষয়ও না।
ছেলের মেয়ে বন্ধু বা স্ত্রীর হাতে পান পাত্র তুলে দিচ্ছে বা জিজ্ঞেস করছে তুমি কি
খাবে? বিয়ের রীতি এদের প্রায়
উঠেই গেছে,
মেয়েবন্ধু
বা ছেলেবন্ধু হিসেবেই জীবন কাটাচ্ছে এবং এদের সমাজ সেটা মেনেও নিয়েছে। এরা ভাবতেই
পারে না যে একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ সে মহিলাই হোক বা পুরুষই হোক মদ না খেয়ে
বাঁচে কি করে। বর্তমান প্রজন্ম হিরোইন গাজা সহ নানা ধরনের নেশায় আসক্ত হয়ে গেছে।
এমনও আছে যে অনেক ছেলে বা মেয়েকে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছে। তাদের আর পড়ালেখা
করার দরকার নেই। এরা স্কুলে থাকলে অন্যদের ক্ষতি করবে। এতে এদের কোন অসুবিধা নেই, আঠার বছর পর্যন্ত বাবা
মার সাথে থাকবে তারপর সরকারি বেকার ভাতা
পাবে আর তার সাথে চুরিচামারি করে দিন কাটাবে। চুরি করতে গিয়ে ধরা পরে অনেকেই জেলে
আছে তবে আঠার বছরের আগে কোন অপরাধ করলে তার বিচার নেই বলে যার যা ইচ্ছা করে
যাচ্ছে। এদের চুরি করার কৌশল দেখে অবাক হতে হয়। এদেশে সুপার স্টোর গুলি সহ প্রায়
সব দোকানেই বের হবার পথে সেন্সর থাকে, দোকানের প্রতিটি মালামালের প্যাকেটের গায়ে যে বার কোড থাকে
তা দাম দেবার সময় স্ক্যান করলেই ডিকোড হয়ে যায়। যখন কেও দাম না দিয়ে ওই মাল নিয়ে
গেট দিয়ে বের হবে গেটের সেন্সর সেই ডিকোড না করা মালের বার কোড পড়ে নিয়েই এলার্ম
বাজানো শুরু করে দিবে, কাজেই
সহজ পথে চুরি করার পথ নেই।
ওদিকে
আবার সমস্ত দোকান সিসি ক্যামেরার আওতায় রয়েছে, কোন পাশে কোন রো তে কে কি করছে সব
মনিটরিং করে। এই ক্যামেরার চোখ ফাঁকি দিয়েও এরা ওই মালের প্যাকেটে যেখানে বার কোড
থাকে ঠিক সেই জায়গাটুক কিছু দিয়ে ছিঁড়ে ফেলে পকেটে ভরে বের হয়ে যায়। আঠার বছর
বয়সের নিচে কারো কাছে মদ জাতীয় পানীয় বা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করা নিষেধ। তাই
বলে কি আঠার বছর হয় নি এমন কেও মদ পান বা ধুম পান করতে পারবে না? তা না, ওই রকম কোন কৌশল করে
ঠিকই ব্যবস্থা করে নিচ্ছে। সাধারণত এই সব দ্রব্য যে কাউন্টারে বিক্রি হয় সেখানে
লেখাই থাকে যে “আপনার চেহারা দেখে যদি
আপনার বয়স আঠার বছরের কম মনে হয় তাহলে আপনার পরিচয় পত্র দেখতে চাইলে অপরাধ নেবেন
না”। এমনকি
সুপার স্টোর গুলিতে যারা কম কিছু কিনেছে তাদের লম্বা কিউতে না দাঁড়িয়ে সেলফ পে বা
কুইক জোনে মেশিন দিয়ে খরিদ্দার নিজেই মাল স্ক্যান করে নগদ বা কার্ডে দাম পরিশোধ
করে স্লিপ নিয়ে চলে যাচ্ছে। এই মেশিন গুলি অত্যন্ত শিক্ষিত, এগুলি সঠিক দামের
হিসেব করতে পারে সেই সাথে ক্রয় মূল্যের চেয়ে যে কোন বড় মাপের নোট দিলে সঠিক অংক
ফেরত দিতেও পারে। এখানে এসেও যদি কেও মদের বোতল স্ক্যান করে সঙ্গে সঙ্গে এই মেশিনই
খরিদ্দারের বয়স প্রমাণের জন্য যে কোন আইডি কার্ড যেমন ড্রাইভিং লাইসেন্স বা
পাসপোর্ট স্ক্যান করতে বলবে নতুবা ওই স্টোরের কোন কর্মচারী এসে খরিদ্দারের চেহারা
দেখে নিশ্চিত হয়ে তার কার্ড স্ক্যান করে ঠিক করে না দেয়া পর্যন্ত মেশিন বলতেই
থাকবে ‘অথেনটিকেশন রিকয়ার্ড’, এই মেশিন আবার কথাও
বলতে পারে।
[চলবে]
No comments:
Post a Comment
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি আপনার মতামত জানতে আগ্রহি।
আশা করি অতি শিঘ্রই আপনার মন্তব্য বা জিজ্ঞাসার জবাব পাবেন।